আওয়ার ইসলাম: গত ৪ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন রাজ্যের ওসকোস অঞ্চলে হঠাৎ করেই গুলির শব্দ শুরু হয়। পাশের একটি স্কুল সেসময় ক্লাস চলছিল। গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। প্রাণ বাঁচাতেএদিক-সেদিক ছুটোছুটি শুরু করে দেয়।
স্কুল থেকে বেরিয়ে চোখে পড়ে রাস্তার ওপারে মসজিদ রয়েছে। মসজিদের দিকেই ছোটে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু তালা দেওয়া ছিল মসজিদের দরজায়।
ওই সময় সহপাঠীদের ত্রাতা হিসেবে হাজির হয় ওসকোস ওয়েস্ট হাইস্কুলের ১৭ বছরের এক মুসলিম মেয়ে। মসজিদের দরজা খুলে প্রায় একশ জনেরও বেশি আতঙ্কিত ছাত্রছাত্রীকে মসজিদে ঢুকিয়ে প্রাণে বাঁচিয়েছে দুয়া আহমেদ।
এই ঘটনাটির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওটিতে দেখা যায়, আতঙ্কিত শিক্ষার্থীদের মসজিদে প্রবেশের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে দুয়া।
সেই মুহূর্তে বিন্দুমাত্র নিজের কথা ভাবেনি সে। আর সেটা দেখে বেশ উচ্ছ্বসিত নেটিজেনরা। নিজের প্রাণের তোয়াক্কা না করে সহপাঠীদের প্রাণ বাঁচাতেই বেশি তৎপর ছিল দুয়া আহমেদ।
ওসকোস পুলিশ কর্মকর্তা ডিন স্মিথ জানান, স্কুল চত্বরে বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটে গেল। স্কুলের একজন কর্মকর্তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছিল এক ছাত্র। সেই ঘটনায় ওই ছাত্রের ওপর গুলি চালায় ওই কর্মকর্তা।
গুরুতর আহত অবস্থায় দু’জনেই হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আর সেই গুলির শব্দেই চমকে যায় শিক্ষার্থীরা। আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি আরম্ভ করে দেয় তারা। স্কুলের বাইরে বেরিয়ে ছাত্রছাত্রীদের চোখে পড়ে রাস্তার ওপারের আহমাদিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের ওসকোস চ্যাপ্টার মসজিদ।
কিন্তু মসজিদে ঢোকাও সহজ ছিল না। দরজা খোলার জন্য প্রয়োজন ছিল সিকিউরিটি কোডের। আর সেই সিকিউরিটি কোডটি জানত দুয়া আহমেদ। ফলে সহপাঠীদের বাঁচাতে সক্ষম হয় সে।
আরএম/