মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ।।
মানুষ মাত্রই মরণশীল। প্রত্যেক মানুষকেই মৃত্যুর স্বাদ নিতে হবে। আর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। তবে এমন কিছু আমল রয়েছে যেগুলোর প্রতিদান বা সওয়াব মৃত ব্যক্তির আমলনামায় লেখা হতে থাকবে। সে-রকম কিছু আমল এখানে বর্ণনা করা হলো।
মানুষকে জ্ঞান শিক্ষা দেওয়া
এমন জ্ঞান (ইলম) শিক্ষা দেওয়া যা মানুষের জন্য কল্যাণকর। যে জ্ঞান মানবজাতিকে হেদায়েতের পথে নিয়ে যায় ও মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়। পবিত্র কোরআন-হাদিস, নিত্যপ্রয়োজনীয় মাসয়ালা শিক্ষার পাশাপাশি দুনিয়ার কল্যাণে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জ্ঞান শিক্ষা দেওয়াও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
সুসন্তান রেখে যাওয়া
সুসন্তান বলতে লেখাপড়ায় শুধু ভালো তা নয়, যার ঈমান-আমল ঠিক আছে, যে শরিয়তের বিধান মেনে চলার চেষ্টা করে। যারা পিতা-মাতা বেঁচে থাকতেও অনুগত ছিল, তাদের মৃত্যুর পরেও আল্লাহর কাছে তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
মসজিদ নির্মাণ ও কোরআনে কারিম বিতরণ
পবিত্র কোরআনে কারিমে মসজিদকে বলা হয়েছে হেদায়েতের কেন্দ্র। হজরত ওসমান (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য মসজিদ তৈরি করল, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ ঘর তৈরি করবেন।’ (সহিহ মুসলিম)।
বৃক্ষরোপণ করা
হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোনো মুসলিম যদি বৃক্ষরোপণ করে আর তা থেকে কোনো ফল ব্যক্তি বা হিংস্র প্রাণী খেলে তার জন্য সদকা, যদি কেউ চুরি করে খায় বা কোনো পাখিও খায় সেটিও তার জন্য সদকা। এমনকি যদি কেউ তা কেটে ফেলে সেটিও তার জন্য সদকা।’ (সহিহ মুসলিম)।
মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকা
হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে মানুষকে হেদায়েতের দিকে আহ্বান করবে, তার আমলনামায় সম্পাদনকারীর অনুরূপ সওয়াব যুক্ত হতে থাকবে। অথচ তাদের সওয়াব থেকে কোনো কমতি হবে না।’ (সহিহ মুসলিম)
হজরত আবু উমামাতা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, ‘মৃত্যুর পরও অনেক আমলের সওয়াব অব্যাহত থাকে। যেমন ইসলামি রাষ্ট্রের সীমান্ত পাহারা দেওয়া ও পানির কূপ খনন করা।’ (মুসনাদ আহমাদ)।
লেখক : প্রাবন্ধিক ও গবেষক