আওয়ার ইসলাম: যশোরে তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক জোড় ইজতেমা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি, কল্যাণ, অগ্রগতি, ভ্রাতৃত্ববোধ, ক্ষমা প্রার্থনা ও মঙ্গলকামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো। এতে লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান শরিক হন।
শনিবার যশোর উপশহর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে দুপুর ১২টায় আখেরি মুনাজাত করেন দারুল উলুম দেওবন্দের মাওলানা আব্দুর রহমান।
যশোর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শফিউল আরিফ, পুলিশ সুপার মঈনুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার, পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুসহ সকল স্তরের মানুষ এই মোনাজাতে অংশ নেন।
সফল ও নিরাপদ পরিবেশে যশোরের ইজতেমা শেষ করার জন্য জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, পৌরসভা, কার্যালয়গুলোসহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা, ব্যক্তি ও সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ইজতেমা আয়োজক কমিটি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্যদিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ইজতেমায় যশোর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরা, ফরিদপুর, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়িসহ রাজশাহী বিভাগের সব জেলার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নেয়।
প্রসঙ্গত, ইজতেমা মাঠের সার্বিক প্রস্তুতি ও ইজতেমা উপলক্ষে দাওয়াত ও তাবলিগের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মূলত এ জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ব ইজতেমার সফলতার জন্য পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা দেয়া হয়। শুধুমাত্র আলেম-ওলামা ও তাবলিগে তিন চিল্লা সম্পন্নকারীরা এ জোড়ে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
উল্লেখ্য, টঙ্গীর ময়দানে ২০২০ সালের ইজতেমা শুরু হবে ১০ জানুয়ারী থেকে।
-এএ