আওয়ার ইসলাম: চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়ায় আজ ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার শুরু হয়েছে আলমী শূরার তাবলিগীরে সাথীদের জোড় ইজতেমা। আজ ইজতেমার শুক্রবার সর্ববৃহত জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার বাদ ফজর কাকরাইলের মুরব্বী মাওলানা আব্দুল বারের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দাওয়াতে তাবলিগের তিনব্যাপী এ জোড়। আগামী ৮ ডিসেম্বর আখেরী মুনাজাতের মধ্য দিয়ে এ জোড় সমাপ্ত হবে।
দাওয়াতে তাবলীগের এই জোড়ে চট্টগ্রাম, রাংগামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান,কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষীপুর, চাদপুর, বিবাড়িয়া, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার সহ মোট ১৬ জেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ নিয়েছেন।
বাদ জুমা হাটহাজারী মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস, দাওয়াতে তাবলীগের চট্টগ্রামের শীর্ষ মুরব্বী মুফতি জসিম উদ্দীন বয়ান করার কথা রয়েছে। বাদ মাগরিব বয়ান করবেন ভারতের মুরব্বী মাওলানা ইক্ববাল।বয়ানের অনুবাদক হিসেবে থাকবেন, কাকরাইলের মুরব্বী মাওলানা ওমর ফারুক ।
ইজতেমায় মুসল্লিদের জন্য পর্যাপ্ত টয়লেট, ৪ থেকে ৫ হাজার মুসল্লির একসাথে অজুর ব্যবস্থা, গোসলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইজতেমায় আগতদের জন্য ১৭টি খিত্তায় ১৭জন আমিরের নেতৃত্বে মুসল্লিরা তদারকি করবেন। বিদেশিদের জন্য আলাদা বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মুসল্লিদের চিকিৎসা সেবার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি দল ও হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিস সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন।
হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইজতেমায় লাইটিং, টয়লেট, প্যাণ্ডেল, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো তৈরি, মশা ও পোকামাকড়ের ওষুধ ছিটানোসহ বিভিন্ন কাজে তদারকি ও সহয়োগীতা করা হয়েছে।
আরএম/