শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


বাংলাদেশ ও ইসলাম একই সূত্রে গাথা: মাওলানা মামুনুল হক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের সভাপতি মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, বিশ্ব দরবারে লাল সবুজের পতাকা নিয়ে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে ইসলাম ও বাংলাদেশের ভৌগলিক সিমারেখার ভিত্তিতে। বাংলাদেশ থেকে ইসলামকে নির্মূল করার চেষ্টা করা হলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব সংকটের মুখে পড়বে। বাংলাদেশ ও ইসলাম একসূত্রে গাথা। এ দেশে ইসলাম টিকলে বাংলাদেশ স্বাধীনতাও টিকবে।

আজ শুক্রবার বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের ১০ বছরপূর্তি সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার নানামুখী চক্রান্ত চলছে। সরকার দেশকে বাহ্যিক কিছু উন্নয়নের চমক দেখিয়ে প্রকৃত অর্থে দেশকে সামনের দিকে অগ্রসর করার পরিবর্তে নানাভাবে দুর্বল ও পরনির্ভর জাতি হিসেবে পরিণত করছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার বিচার বিভাগকে ভঙ্গুর মেরুদন্ডহীন একটি বিভাগে পরিণত করেছে। সরকারের আরেকটি বিভাগ প্রশাসন অনৈতিকতার সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে। সব স্তরের স্বজনপ্রীতি দুনীর্তি দলপ্রীতি জেঁকে বসেছে। প্রশাসনকে দিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যরাতে নির্বাচন করিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার কারণে প্রশাসন আজ বেপরোয়া।

‘অনেক ক্ষেত্রে সরকারের নিয়ন্ত্রন তাদের ওপর নেই। কারণ সরকার তাদেরকে অনৈতিক কাজে ব্যবহার করেছে। সারাদেশে গুম সন্ত্রাস চলছে। নানা অভিযোগে দেশের বিশিষ্টজনদেরকে সাদা পোশাকে তুলে নেয়া হচ্ছে। অনেকদিন পর আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে তাদের পাওয়া যাচ্ছে’।

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, মানুষের জীবনের মৌলিক জীবন উপকরণ ও দ্রব্য মূল্যের লাগামহীন মূল্য, পেয়াজের দর শুধু বাংলাদেশের ইতিহাস নয় বিশ্বের ইতিহাসে রেকর্ড ব্রেক করে এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের অবস্থা সৃষ্টি করেছে। গোটা বাংলাদেশে আজ হাহাকার চলছে। অধিকাংশ নিত্য প্রয়োজনীয় মূল্য মানুষের নাগালের বাইরে। এ অবস্থা চলতে পারে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনভাবে কথা বলা, জনগণের মৌলিক অধিকার ও মিছিল মিটিং করার যতোগুলো জায়গা ছিলো সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একমাত্র জায়গা রয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে দুই মাস ধরে সরকারি দল দখল করে আছে। আমরা একবছর আগ থেকে আবেদন করেও যথাসময়ে বরাদ্ধ পাইনি। এমনকি দুই দফা তারিখ পিছিয়েও আমাদের সুযোগ দেয়া হয়নি। ডিসেম্বরর শুরুতে সরকারের কোনো প্রোগ্রাম নেই। তবুও তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দখল করে আছে।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা ঈসমাঈল নূরপুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক।

বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা রেজাউল করীম ও খুলনা মহানগর সভাপতি মাওলানা শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রখ্যাত ওয়ায়েজ মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী ও মাওলনা শরীফ সাঈদুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মাওলানা কুরবান আলী, কওমী ফোরামের সমন্বয়ক মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজী।

রাবেতাতুল ওয়ায়েজীনের সেক্রেটারি মাওলানা হাসান জামিল, কওমী ফোরামের সদস্য মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ আরমান, কওমী ফোরামের সদস্য মাওলানা গাজী ইয়াকুব, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা মুহসিনুল হাসান, সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা ফয়সাল আহমদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরের সভাপতি মাওলানা রুহুল আমিন খান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মুমিন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিভাগের সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা রাকিবুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ বিভাগের সম্পাদক মাওলানা শরীফ হুসাইন, খুলনা জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ, নড়াইল জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ আবুল কালাম আজাদ, কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ আলী।

নরসিংদী জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আনোয়ার মাহমুদ, নেত্রকোনা জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মাজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ জাকির হুসাইন, সভাপতি পরিষদ সদস্য আবু নাইম, মোশাররফ হুসাইন লাবীব প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ