আওয়ার ইসলাম: “শিক্ষাগ্রহণ করতে গিয়ে যেন পর্দার বিধান লঙ্ঘন করা না হয়। আমাদের দেশের বেশিরভাগ সাধারণ শিক্ষাকেন্দ্রগুলোতে সহশিক্ষা দেয়া হয়। ছেলে-মেয়ে একই সাথে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। এতে করে পর্দার লঙ্ঘন হয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও মেয়েদের স্কুলে পড়েছেন।”
গতকাল বুধবার বিকেলে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার বাড়গাঁও ইসলামিয়া কাওমি মাদরাসা মাঠে ওয়াজ মাহফিলে দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক ও হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী এসব কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, সরকারকে ছাত্র ও ছাত্রীর জন্য আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। ছাত্রদের জন্য পুরুষ শিক্ষক ও ছাত্রীদের জন্য মহিলা শিক্ষকের ব্যবস্থা করতে হবে। বর্তমান যুব সমাজ মোবাইল আসক্ত হয়ে পড়েছে। তাই যুব সমাজকে সঠিক পথ দেখাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠ বান্দা। এ শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে হলে নবী করিম (সা.) এর দেখানো পথ অনুসরণ করতে হবে। মাহফিলে আল্লামা শাহ আহমদ শফী আগত মুসল্লিদের তওবা পাঠ করান।
আল্লামা শাহ্ আহমাদ শফী আরও বলেছেন, নিজে এবং পরিবার পরিজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাতে হবে। নামাজ কায়েম করতে হবে। আল্লাহর ঘর মসজিদ আর নবীর ঘর হলো মাদরাসা। মাদরাসা হক্কানী আলেম তৈরীর কারখানা। তাই আখেরাতের মুক্তির লক্ষ্যে নবীর ঘর মাদরাসা পরিচালনা করার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন।
বড়গাঁও ইসলামিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা বদিউল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, হেফাজত ইসলামের জেলা আমির শিব্বির আহমেদ, ফেনি মাদরাসার মোহাদ্দিস ফরিদ উদ্দিন মোবারক, মাওলানা শামছুদ্দিন বাড়াইলি।
মুফতি নাছরুল্লাহর সঞ্চালনায় মাহফিলে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সোনাইমুড়ী উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান আফম বাবুল বাবু, নদনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহবুব হাসান দয়াল।
আরএম/