আওয়ার ইসলাম: বিশ্ব ইজতেমার ৪০ দিন আগে সাধারণত ৫ দিনের জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর টঙ্গি ইজতেমা ময়দানে এ জোড় ইজতেমা হলেও এ বছর অঞ্চল ভিত্তিক পৃথক পৃথক স্থানে আলমী শুরাপন্থী তাবলিগী সাথীদের ‘জোড় ইজতেমা’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ ধারাবাহিকতায় ২০ জেলার আলমী শূরার তাবলিগের সাথীদের অংশগ্রহণে যশোরে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) শুরু হয়েছে ৩ দিনের জোড় ইজতেমা। আগামী শনিবার বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ জোড়।
উপশহর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ, উপশহর ক্রীড়া উদ্যান, উপশহর ডিগ্রি কলেজ মাঠ, বাদশা ফয়সল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ, উপশহর পার্ক, শাপলা কিন্ডার গার্টেন মাঠ এবং বিরামপুর সরকারি প্রাইমারি স্কুল মাঠ নিয়ে এ ইজতেমার সব আয়োজন করো হয়েছে। আজ ফজরের নামাজের পরে আমবয়ানের মাধ্যমে ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়।
জোড় ইজতেমায় যশোর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরা, ফরিদপুর, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়িসহ রাজশাহী বিভাগের সব জেলার তাবলিগ জামাতের আলমী শুরার তিন চিল্লার সাথীরা অংশ নিয়েছেন।
এদিকে ইজতেমা প্রস্তুতিতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যশোরে ইজতেমা হচ্ছে বেশ কয়েকটা ভেন্যুতে। আমরা প্রত্যেক ভেন্যুর ভেতরে ও বাইরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সাতক্ষীরা ও ঝিনাইদহ থেকে ফোর্স আনা হয়েছে। এছাড়া ইজতেমাস্থলের পাশে স্কুলে পুলিশের একটি কন্ট্রোল রুমও আছে।’
প্রসঙ্গত, ইজতেমা মাঠের সার্বিক প্রস্তুতি ও ইজতেমা উপলক্ষে দাওয়াত ও তাবলিগের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মূলত এ জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ব ইজতেমার সফলতার জন্য পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়।শুধুমাত্র আলেম-ওলামা ও তাবলিগে তিন চিল্লা সম্পন্নকারীরা এ জোড়ে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
উল্লেখ্য, টঙ্গীর ময়দানে ২০২০ সালের ইজতেমা শুরু হবে ১০ জানুয়ারী থেকে। ১০, ১১, ১২ জানুয়ারী আলমী শুরার সাথীদের এবং ১৭, ১৮, ১৯ জানুয়ারী দিল্লির মাওলানা সা’দ কান্ধলবির অনুসারীদের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
আরএম/