আওয়ার ইসলাম: পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পর বাণিজ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাওয়ার বিষয়টি ‘কথার কথা’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার সচিবালয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম টানতে না পারায় বিভিন্ন মহল থেকে বাণিজ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি উঠেছে। তার পদত্যাগেও যদি পেঁয়াজের দাম কমে তাহলে এক সেকেন্ডও সময় নেবেন না বলে মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন টিপু মুনশি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন তার পদত্যাগের ফলে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হলে তিনি এক সেকেন্ডও সময় দিতেন না- এ ধরনের বক্তব্য একজন মন্ত্রী হিসেবে দিলে সেটি কতটা প্রভাব পড়তে পারে- এক সাংবাদিকের প্রশ্নে দলের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, দেখুন এটা কথার কথা।
‘যদি গ্যারান্টি থাকতো যে আমি পদত্যাগ করলেই পেঁয়াজের দাম কমে যাবে, সেটা তো কথার কথা। সেটা তো আর পদত্যাগ করার বিষয় নয়। আর মন্ত্রী হিসেবে হয়তো কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, যেহেতু পেঁয়াজের দাম বাড়তি। কেউ কেউ তো মন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করে। সেজন্য বলছেন যে পদত্যাগ করলেই যদি সমাধান হয়ে যেতো তাহলে তো আমি এক সেকেন্ডেই পদত্যাগ করতাম।
হাসতে হাসতে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেটা উনি অযৌক্তিক কিছু বলেননি, এটা কথায় কথাই বলতেই পারেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই, অস্বীকার করবো না; তবে সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। বাজারের অনেক পন্যের দাম সরকারের নিয়ন্ত্রণে না থাকলেও কিছু পন্যের দাম মানুষের হাতের নাগালে রয়েছে, অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে পেঁয়াজের দাম কমছেনা, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে, বেশীদিন থাকবেনা পেঁয়াজের এতো দাম, শিগগিরই কমে যাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের শুদ্ধি অভিযান বন্ধ হয়ে যায়নি, এটা চলবে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত না করা পর্যন্ত, প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক কর্মী কেউ বাদ যাবেনা, দুদককে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া রয়েছে যে যাদেরকে নিয়ে অভিযোগ উঠবে তাদের ব্যাপারেই তদন্ত করার জন্য, ইতিমধ্যে কয়েকজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং সংসদ সদস্যকে তলবও করেছে দুদক।
-এএ