শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


প্রস্তুতি সম্পন্ন, কাল থেকে যশোরে শুরু হচ্ছে জোড় ইজতেমা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গাজী তাওহীদুর রহমান
যশোর থেকে

বিশ্ব ইজতেমার ৪০ দিন আগে সাধারণত ৫ দিনের জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর টঙ্গি ইজতেমা ময়দানে এ জোড় ইজতেমা হলেও এ বছর অঞ্চল ভিত্তিক পৃথক পৃথক স্থানে আলমী শুরাপন্থী তাবলিগী সাথীদের ‘জোড় ইজতেমা’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ধারাবাহিকতায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে যশোরে তিন দিনের জোড় ইজতেমা শুরু হচ্ছে। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ৭ ডিসেম্বর শেষ হবে।

উপশহর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ, উপশহর ক্রীড়া উদ্যান, উপশহর ডিগ্রি কলেজ মাঠ, বাদশা ফয়সল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ, উপশহর পার্ক, শাপলা কিন্ডার গার্টেন মাঠ এবং বিরামপুর সরকারি প্রাইমারি স্কুল মাঠ নিয়ে এ ইজতেমার সব আয়োজন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে।

ইজতেমা আয়োজন কমিটির প্রধান মাওলানা নাসীরুল্লাহ বলেন, “ইজতেমার জন্যে প্রায় ৭ লাখ বর্গফুট জায়গা প্রস্তুত করা হচ্ছে। গোটা মাঠ ত্রিপল ও চট দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। খুলনা বিভাগের ১০ জেলা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর ও পাবনা থেকে মুরুব্বিরা ইজতেমায় আসবেন।”

“৫ ডিসেম্বর ফজরের পর আমবয়ানের মাধ্যমে ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হবে। আশা করা যায় প্রায় দু’লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে ইজতেমায়। তবলিগের পুরনো সাথী যারা ইতোমধ্যে তিন চিল্লা সম্পন্ন করেছেন তারাও আসবেন। এছাড়াও জোড় ইজতেমায়  প্রখ্যাত দাঈ ও তাবলিগের মুরুব্বি মাওলানা ইব্রাহিম দেউলা অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।” বললেন মাওলানা নাসীরুল্লাহ।

ইজতেমা স্থলে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি আয়োজকরা বলছেন, প্রায় এক হাজার বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীর থাকার আয়োজন করা হয়েছে। তাদের ইশারা ভাষায় বয়ান বোঝানোর জন্য ২০-২৫ জন মুতার্জেম (ট্রান্সলেটর) থাকবেন।

ইজতেমার আরেক জিম্মাদার বদরুল আলম জানান, ‘আগত মুসল্লিদের জন্য প্রশাসন থেকে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ইজতেমার এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। এবাদেও অসুস্থদের জন্য থাকবে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসসহ বিভিন্ন মেডিকেল টিম। আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠে সবসময় থাকবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

উপশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসানুর রহমান লিটু বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে প্রায় এক হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করেছি। উপশহর বাজারের প্রত্যেক দোকানিকে বলে দেওয়া হয়েছে ইজতেমার এই তিনদিন যেন তারা কোনও দ্রব্যের দাম বেশি না রাখেন।’

[caption id="" align="alignnone" width="650"] ইজতেমার মাঠ পরিদর্শন করছেন আলেম ওলামা ও স্থানীয় পুলিশ প্রসাশন[/caption]

ইজতেমা স্থলে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। যশোর পুলিশ প্রশাসন ইজতেমা স্থলের নিরাপত্তা জোরদার করতে ব্যবস্থা নিয়েছে। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যশোরে ইজতেমা হচ্ছে বেশ কয়েকটা ভেন্যুতে। আমরা প্রত্যেক ভেন্যুর ভেতরে ও বাইরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। সাতক্ষীরা ও ঝিনাইদহ থেকে ফোর্স আনা হচ্ছে। এছাড়া ইজতেমাস্থলের পাশে স্কুলে পুলিশের একটি কন্ট্রোল রুম থাকবে।’

প্রসঙ্গত, ইজতেমা মাঠের সার্বিক প্রস্তুতি ও ইজতেমা উপলক্ষে দাওয়াত ও তাবলিগের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মূলত এ জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ব ইজতেমার সফলতার জন্য পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়।শুধুমাত্র আলেম-ওলামা ও তাবলিগে তিন চিল্লা সম্পন্নকারীরা এ জোড়ে অংশগ্রহণ করতে পারেন।

উল্লেখ্য, টঙ্গীর ময়দানে ২০২০ সালের ইজতেমা শুরু হবে ১০ জানুয়ারী থেকে। ১০, ১১, ১২ জানুয়ারী আলমী শুরার সাথীদের এবং ১৭, ১৮, ১৯ জানুয়ারী দিল্লির মাওলানা সা’দ কান্ধলবির অনুসারীদের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ