আওয়ার ইসলাম: বিশ্ব ইজতেমার ৪০ দিন আগে সাধারণত ৫ দিনের জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর টঙ্গি ইজতেমা ময়দানে এ জোড় ইজতেমা হলেও এ বছর অঞ্চল ভিত্তিক পৃথক পৃথক স্থানে আলমী শুরাপন্থী তাবলিগী সাথীদের ‘জোড় ইজতেমা’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ধারাবাহিকতায় আগামী ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের হাটহাজারীস্থ চারিয়া ময়দানে ৩ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বুধবার সকাল ১১ টায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির ও জামিয়া মইনলু ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী জোড়ের মাঠ, প্যান্ডেল ও অবকাঠামো প্রস্তুতির কাজ হেলিকপ্টার যোগে পরিদর্শন করেন।
জানা যায়, আজ হাটহাজারী মাদরাসা থেকে হেলিকাপ্টারযোগে চট্টগ্রামের বাইরে ৩দিনের দাওয়াতি সফরে যাওয়ার পথে ইজতেমার মাঠ পরিদর্শন করেন হেফাজত আমির।
এসময় তিনি ইজতেমার মাঠের অবকাঠামো তৈরিতে জামিয়ার শিক্ষার্থীদের জামাতওয়ারি দায়িত্ব দিয়ে ধারাবাহিকভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন। তাছাড়া আসন্ন জোড় সফলতার জন্য সর্বস্তরের মুসলমানদের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন আল্লামা আহমদ শফী।
তাবলীগ জামাত সূত্রে জানা যায়, আসন্ন জোড়ে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা, বিবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার এবং সুনামগঞ্জ ১৫টি জেলার ১চিল্লা, ৩চিল্লা ও সাল দেয়া সাথীরা অংশগ্রহণ করবে।
এদিকে বিশাল মাঠের কাজে চট্টগ্রামের বিভিন্ন মাদরাসার ছাত্র ও সাধারণ মুসল্লিরা স্বতঃফুর্ত অংশগ্রহণ করছেন। সামিয়ানা টানানো, স্টেজ নির্মাণ, টয়লেট নির্মাণ, মাটি কাটা, ধান কাটা, পাকা গোসলখানা নির্মাণ, নিচু ও কাঁদাযুক্ত মাটিতে বালু দিয়ে ভরাটকরণসহ সমস্ত কাজ স্বেচ্ছাশ্রমে করে যাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত সাধারণ মুসল্লি ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা।
দারুল উলূম হাটহাজারী ছাড়াও চট্টগ্রামের নাজিরহাট, নানুপুর, বাবুনগর, চারিয়া, ফতেহপুর, মেখল, ইছাপুর ও চট্টগ্রামের হালিশহরসহ অসংখ্য মাদরাসার ছাত্ররা রাতদিন নিরলসভাবে ইজতেমা মাঠের কাজ করে যাচ্ছেন।
এদিকে, এই জোড়কে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে সাধারণ মুসল্লীদের মাঝে ব্যাপক আনন্দ উৎসাহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। ইজতেমার এই জোড়ে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে মাঠ পরিদর্শন করেন আলমী শুরার তাবলিগ জামাতের চট্টগ্রাম জিম্মাদার ও হাটহাজারী মাদরাসার মুহাদ্দিস, আল্লামা মুফতী জসিমুদ্দীন, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন ও হাটহাজারী থানার ওসি মাসউদ প্রমুখ।