আওয়ার ইসলাম: বিশ্ব ইজতেমার ৪০ দিন আগে সাধারণত ৫ দিনের জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর টঙ্গি ইজতেমা ময়দানে এ জোড় ইজতেমা হলেও এ বছর অঞ্চল ভিত্তিক পৃথক পৃথক স্থানে আলমী শুরাপন্থী তাবলিগী সাথীদের ‘জোড় ইজতেমা’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ধারাবাহিকতায় আগামী ৫, ৬ ও ৭ ডিসেম্বর যশোরের উপশহরে আলমী শূরার তিন চিল্লার সাথীদের নিয়ে প্রথমবারের মতো তিন দিনের আঞ্চলিক জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
উপশহর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ, উপশহর ক্রীড়া উদ্যান, উপশহর ডিগ্রি কলেজ মাঠ, বাদশা ফয়সল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ, উপশহর পার্ক, শাপলা কিন্ডার গার্টেন মাঠ এবং বিরামপুর সরকারি প্রাইমারি স্কুল মাঠ নিয়ে এ ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মাঠ প্রস্তুতির কাজ শেষ পর্যায়ে।
এ জোড় ইজতেমায় যশোর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরা, ফরিদপুর, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়িসহ রাজশাহী বিভাগের সব জেলার তিন চিল্লার প্রায় আড়াই লাখ সাথীরা অংশ নিবেন। এছাড়াও জোড় ইজতেমায় প্রখ্যাত দাঈ ও তাবলিগের মুরুব্বি মাওলানা ইব্রাহিম দেউলা অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
ইজতেমা আয়োজক কমিটির সাথী সিয়ামুর রহমান ও রেজাউল ইসলাম জানান, ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতি শেষের দিকে। বিদ্যুৎ সংযোগ, খিত্তা (এলাকা) নির্ধারণ, তাবু টাঙানো হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে শুধু মাইক লাগানো বাকি আছে। আমরা আশা করছি ইজতেমা শুরুর কয়েকদিন আগেই সব প্রস্তুতি শেষ করতে পারবো।
ইজতেমার আরেক জিম্মাদার বদরুল আলম জানান, ‘আগত মুসল্লিদের জন্য প্রশাসন থেকে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ইজতেমার এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। এবাদেও অসুস্থদের জন্য থাকবে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসসহ বিভিন্ন মেডিকেল টিম। আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠে সবসময় থাকবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ইজতেমা মাঠের সার্বিক প্রস্তুতি ও ইজতেমা উপলক্ষে দাওয়াত ও তাবলিগের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মূলত এ জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ব ইজতেমার সফলতার জন্য পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়।শুধুমাত্র আলেম-ওলামা ও তাবলিগে তিন চিল্লা সম্পন্নকারীরা এ জোড়ে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
প্রসঙ্গত, টঙ্গীর ময়দানে ২০২০ সালের ইজতেমা শুরু হবে ১০ জানুয়ারী থেকে। ১০, ১১, ১২ জানুয়ারী আলমী শুরার সাথীদের এবং ১৭, ১৮, ১৯ জানুয়ারী দিল্লির মাওলানা সা’দ কান্ধলবির অনুসারীদের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
আরএম/