শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


রাজীব-দিয়া হত্যা মামলার রায় আজ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী রাজীব-দিয়া নিহতের ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ।

রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

মামলার বাদী নিহত দিয়া খানম মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম কালু বলেন, আমার মেয়েকে ইচ্ছাকৃতভাবে চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এটা দুর্ঘটনা নয়, হত্যাকাণ্ড। গাড়ি একটু স্লো করলে মেয়েকে হারাতে হইতো না। মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে এমন রায় চাই। রায়ে যেন আমরাও শান্তি পাই।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, রোববার বিকেল ৩টার দিকে রাজীব-দিয়ার মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। সাক্ষীদের জবানবন্দি ও যুক্তি উপস্থাপনে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন প্রত্যাশা করছি।

আসামিপক্ষের আইনজীবী টি এম আসাদুল হক বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে ৩০৪/৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। যার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন আর সর্বনিম্ন শাস্তি ১০ বছরের জেল। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। আশা করছি, আসামিরা খালাস পাবেন।

এর আগে ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ ১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ৪১ সাক্ষীর মধ্যে ৩৭ জন সাক্ষ্য দেন।

ঘটনার দিনই নিহত মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।

২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন। ২৫ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন না মঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঘটনার দিন দুপুরে চালক ও তাদের সহকারীরা বেশি লোক ওঠানোর লোভে যাত্রীদের কথা না শুনে এবং তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে জিল্লুর রহমান উড়াল সড়কের ঢালের সামনে রাস্তা ব্লক করে দাঁড়ান। এ সময় আরেকটি বাসের চালক মাসুম বিল্লাহ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ১৪-১৫ শিক্ষার্থীর ওপর গাড়িটি উঠিয়ে দেন। ঘটনাস্থলেই দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। আহত হন নয়জন।

জাবালে নূরের যে তিন বাসের রেষারেষিতে ওই দুর্ঘটনা ঘটে, সেগুলোর নিবন্ধন নম্বর হলো- ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-৯২৯৭, ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-৭৬৫৭ এবং ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-৭৫৮০। এর মধ্যে ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-৯২৯৭ নম্বর বাসের চাপায় নিহত হয় দুই শিক্ষার্থী। বাসটি চালাচ্ছিলেন মাসুম বিল্লাহ।

ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-৭৬৫৭ নম্বর বাসের চালক ছিলেন জুবায়ের এবং ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-৭৫৮০ নম্বর বাসের চালক ছিলেন সোহাগ। মামলায় আসামি করা হয় ছয়জনকে। তাদের মধ্যে জাবালে নূর পরিবহনের মালিক জাহাঙ্গীর আলম, দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের এবং তাদের সহকারী এনায়েত হোসেন কারাগারে। জাবালে নূর পরিবহনের আরেক মালিক শাহাদাত হোসেন জামিনে রয়েছেন। তার পক্ষে মামলা উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে। চালকের সহকারী কাজী আসাদ এখনও পলাতক।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ