আওয়ার ইসলাম: নারায়ণগঞ্জে দেশের ১১টি জেলার আলমী শূরার তাবলিগ জামাতের তিন চিল্লার সাথীদের নিয়ে তিন দিনের জোড় শুরু হয়েছে। ময়দান মুসল্লিদের আগমনে কানায় কানায় ভরে উঠছে।
শুক্রবার ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকায় অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ জেলা তাবলিগ মারকাজ মসজিদে গতকাল শুক্রবার থেকে জোড় শুরু হয়েছে। আগামি রোববার পর্যন্ত চলবে এই জোড়।
গতকাল জোড়ের প্রথম দিন হওয়ায় নারায়ণগঞ্জসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকেও কয়েক লাখ মুসল্লি এখানে এসে জুম্মার নামাজ আদায় করেছেন। শনিবার দ্বিতীয় দিনে সেই সংখ্যা দিগুণ হয়েছে।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওলামায়ে কেরামের উদ্দেশ্যে বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আকবর শরীফ। বয়ানে তিনি বলেন, তাবলিগ জামাতের মেহনতি হচ্ছে মানুষের দিলের পিছনে মেহনত। একটি মানুষ যেন আল্লাহ ওয়ালা, ইমান ওয়ালা, দীনদার পরহেজগার হতে পারে এটাই হচ্ছে তাবলিগের মেহনত। এই মেহনতের মূল উদ্দেশ্য হলো গুনাহ থেকে বাঁচা। আল্লাহ ভোলা মানুষগুলোকে আল্লাহর দিকে ডাকা।
মাওলানা আকবর শরীফের হিন্দিতে করা বয়ানের বাংলায় অনুবাদ করেন কাকরাইল মারকাজের সূরা সদস্য মাওলানা নূর রহমান।
এ বিষয়ে বরগুনা জামাতের জিম্মাদার জাকির হোসেন মাসদাইরী জানান, দেশের ১১টি জেলা অর্থাৎ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা ও ঝালকাঠি জেলার তিন চিল্লার কয়েক হাজার সাথীদের নিয়ে জোড় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সাথীদের জন্য ৩২টি খিত্তা, ওজু করার স্থানসহ পর্যাপ্ত টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঢাকা থেকে আসা তিন চিল্লার সাথী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন থেকে মেডিকেল টিম, এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসসহ সার্বিক নিরাপত্তা রেখেছেন।
নিরাপত্তার বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আসলাম হোসেন জানান, পোষাকে ও সাদা পোষাকে প্রায় সাতশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য রয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তাবলীগ জামাতের জোড় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরএম/