মুফতি মনোয়ার হোসেন ।।
একজন বড় মাপের প্রভাবশালী ব্যক্তি, পেশাগত দিক থেকেও প্রভাব আছে উনার। ফেসবুকে উনার টাইম লাইনে প্রায়ই উনার স্ত্রীর বিভিন্ন ছবি আপলোড করে থাকেন। একদিন তাকে সতর্ক করলাম, তিনি আমাকে জ্ঞান না দিতে সতর্ক করলেন। ঠিক তার ক’মাস পরে আমার ইনবক্সে কান্না করে দুআ চাইলেন। উনার স্ত্রী আরেকজন প্রভাবশালীর সাথে চলে যেয়েই ক্ষান্ত হননি বরং এর নামে মামলা লাগাই দিছে!
.
বিয়ে করেছে সদ্য। চাকরি করেন। ব্যস্ত থাকেন খুবই। টাইমলাইনের রিলেশনশিপে নিজের স্ত্রীর লিংক দিয়ে রেখেছেন। তার বন্ধুরা একের পর এক ঐ লিংকে নক করতে লাগলো। অনেককেই রিফিউজ করলো মেয়েটি। একজনকে ইগনোর করতে পারলো না পরিচিত হলো, সে পরিচয় থেকেই শেষ পর্যন্ত পরিণয়।সংসার ভাঙলো জেল হলো। দুটো পরিবারই সর্বস্বান্ত।
.
দ্বীনের দাঈ, স্ত্রীকেও দাওয়াতের গুরত্ব বুঝিয়ে একটা আইডি খুলে দিলো। মিউচুয়াল ফ্রেন্ডে তিনিও থাকলেন। তরুন আলেম, ব্যস্ত ও সফরে সময় যায় তাদের। অবসর সময়ের ফাঁকে এর ওর সাথে একটু কথা। কোন একজন বাইরে দেখা করার প্রস্তা দিলে কিউরিয়াসিটি থেকে বাইরে দেখা করা। এরপর আরেকদিন, আরেকদিন করে গভীরতায় ডুবে গেল। দ্বীনি একটি পরিবার ধ্বংস হয়ে গেলো।
.
দুনিয়াতে মানুষ সব দিক থেকে সুখী হতে পারবে না, বিশেষ করে স্বামী-স্ত্রীতে কোন গ্যাপ থাকলে ভিনপুরষ বা ভিন কোন নারীর হাতছানিতে মানুষের পা পিছলে যেতে পারে। শয়তানতো এ ক্ষেত্রে মুখ্য ভুমিকা পালন করে যায়। অতএব ভাই, নিজ ঘরের মা বোনদের কে বাজারে ছেড়ে বিশ্বাস নিয়ে বসে থাকার দরকার নেই। বরং ইসলামের শিক্ষা হলো ছদ্দুল বাব বা
প্রিভেন্টিবনেস। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে হেফাযত করুন।
(লেখকের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেওয়া)
আরএম/