আওয়ার ইসলাম: ক্যাসিনোর সরঞ্জাম আমদানি নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মুহা. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
দেশে ক্যাসিনো নিষিদ্ধ হলেও এর সরঞ্জাম আমদানি নিষিদ্ধ নয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি নীতি আদেশে নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় ক্যাসিনো কিংবা জুয়া খেলার সরঞ্জামের নাম নেই। ফলে আইনের এই ফাঁক গলে কেউ ক্যাসিনোর সরঞ্জাম কিংবা খেলার সরঞ্জাম নামে এগুলো আমদানি করেছে।
এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সেগুন বাগিচায় এনবিআর ভবনে কক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।
চেয়ারম্যান বলেন, এসব সরঞ্জাম এখন থেকে খালাস বন্ধ করতে কাস্টমস হাউজগুলোতে মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমদানি নীতি আদেশে এগুলো নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে আগামী সপ্তাহ নাগাদ প্রস্তাব পাঠাব। আমদানি নীতিতে ক্যাসিনো সরঞ্জাম নিষিদ্ধ নয় কিন্তু যেহেতু দেশে জুয়া অবৈধ, সেজন্য কোনোভাবেই এসব সরঞ্জাম আমদানি বৈধ হওয়ার সুযোগ নেই।
এছাড়া আরও ১০ থেকে ১২ জনের ব্যাংক লেনদেনের তথ্য অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর সংশ্লিষ্ট বিভাগ। ইতোমধ্যে প্রায় ২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। যাদের বেশিরভাগেরই লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া (জব্দ) হয়েছে। এসব ব্যক্তির কর ফাইল রয়েছে কিনা, তার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। কর ফাইলে দেখানো আয়ের সঙ্গে ব্যাংক লেনদেন কিংবা উদ্ধারকৃত অর্থের তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে। কর ফাঁকি হলে জরিমানাসহ আয়কর আদায় করা হবে। আর উৎস দেখাতে ব্যর্থ হলে ওই অর্থ রাষ্ট্রের কোষাগারে জমা হবে।
মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আরও ১০ থেকে ১২ জনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য দিতে আমরা শিগগিরই ব্যাংকগুলোকে চিঠি পাঠাব। ইতোমধ্যে প্রায় ২০ জনের লেনদেনের তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে বেশিরভাগেরই লেনদেন স্থগিত (জব্দ) করা হয়েছে। তাদের অর্থপাচার হয়েছে কিনা, তা এনবিআরের একাধিক গোয়েন্দা বিভাগ খতিয়ে দেখছে।
কাদের হিসাব জব্দ করা হচ্ছে, এ বিষয়ে কারো নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। তবে ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত, ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদ এ তালিকায় থাকতে পারেন।
-এএ