শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


অনিশ্চিত গন্তব্যে মিশর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মিশরের একনায়ক প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির অপসারণের দাবিতে চলা গণবিক্ষোভ থেকে আটকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দেশটিতে এখন টার্গেট করা হয়েছে সিসি বিরোধী রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট ব্যক্তি ও শিক্ষাবিদদের।

এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২০ বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার বিরোধী সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে শুক্রবার ও শনিবার রাতে সিসিবিরোধী বিক্ষোভে পাঁচ শতাধিক নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

গত শুক্রবার কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী তাহরির স্কয়ারে জড়ো হন। ২০১১ সালের গণঅভ্যুত্থানে এ চত্বরের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। কায়রোর পাশাপাশি আলেকজান্দ্রিয়া ও সুয়েজেও সিসি সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

মিশরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলনের সূত্র ধরে ২০১৩ সালে সিসি নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনী তৎকালীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এরপর থেকে বিরোধীদের ওপর তীব্র দমন-পীড়ন চালিয়ে সিসিই নজিরবিহীভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখে চলেছেন। এ বছরের শুরুতে মুরসির বিরুদ্ধে বিচার চলাকালীন অবস্থায় আদালতে মারা যান তিনি।

এদিকে সিসির হাতে শাসনভার যাওয়ার পর সরকারবিরোধী এ ধরনের বিক্ষোপ এই প্রথম। আন্দোলনকারীরা ‘সিসি সরে যাও’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।

আইন বিভাগের অধ্যাপক নুর ফারহাত বলেন, মঙ্গলবার বিকালে শিক্ষাবিদ হাজিম হোসনিকে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তিনি কোথায় আছেন এখন পর্যন্ত জানি না। প্রফেসর ফারহাত তার দ্রুত মুক্তি এবং আইনজীবীদের সঙ্গে আসামিদের দেখার করার সুযোগ দাবি করেন।

সরকার বিরোধী বিক্ষোভে নেমেছেন ইসতিকলাল পার্টি। দলটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসতিকলাল পার্টির সাধারণ সম্পাদকসহ কমপক্ষে ২০ জন সিনিয়র সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সরকারি বাহিনী। দলটির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। সূত্র-ইয়েনি শাফাক।

-ওএএফ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ