মুহাম্মদ ছফিউল্লাহ হাশেমী: পবিত্র আল-কুরআনের অসংখ্য আয়াতে কারিমা দ্বারা একথা প্রমাণিত যে, যে ব্যক্তি কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, সে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামি। যেহেতু কুফুরির কারণে তার সকল নেক আমল বাতিল হয়ে গিয়েছে, তাই হাশরের দিন তার আমল ওজন করার জন্য মিজান কায়েম করারই কোনো প্রয়োজন হবে না।
আবার কুরআন মাজিদের অসংখ্য আয়াতে কারিমা দ্বারা একথাও অকাট্যভাবে প্রমাণিত, হাশরের দিন মুমিনদের আমলনামার পাপ-পুণ্য ওজন করা হবে। ওজন করার পর নেকির পরিমাণ বেশি হলে, তার আমলনামার গুনাহগুলো ক্ষমা করে দিয়ে তাকে সরাসরি জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে।
এছাড়া বহু সহিহ হাদিস দ্বারা একথাও প্রমাণিত যে, গুনাহর পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে যাদের জন্য জাহান্নামে যাওয়া অবধারিত, তাদের একদলের আমলনামার গুনাহসমূহ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুপারিশে হাশরের মাঠেই ক্ষমা করে দিয়ে তাদেরকে সরাসরি জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে।
আর আরেক দলকে নির্ধারিত মেয়াদের শাস্তি ভোগ করার জন্য জাহান্নামে প্রবেশ করানো হবে। নির্ধারিত শাস্তি ভোগ করার পর তারাও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুপারিশে বাকি শাস্তির ক্ষমা পেয়ে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
এখন যদি কেউ বলে, কবিরাহ গুনাহগার মুমিন চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামি হবে, তাহলে মুমিনের পাপ-পুণ্যের ওজন করার প্রয়োজন কী? আবার যাদের নেকির পরিমাণ বেশি হবে, তাদেরকে সরাসরি জান্নাতে প্রবেশ করানোর অর্থ কী?
এখন যদি একথা মেনে নেয়া হয় যে, কবিরাহ গুনাহগার চিরস্থায়ী জাহান্নামি, তাহলে মুমিনদের পাপ-পুণ্যের ওজন করা বিষয়ক আয়াতে কারিমাগুলো কি মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে যায় না? নাউজুবিল্লাহ!
আবার যে সকল মুমিনদের নেকির পরিমাণ বেশি হবে তাদেরকে সরাসরি জান্নাতে প্রবেশ করানো সংক্রান্ত আয়াতে কারিমাগুলোও কি মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে যায় না?
সারকথা, শুধু কাফিররাই চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামি। কোনো গুনাহগার মুমিন চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামি নয়।
(ফেসবুক পোস্ট থেকে নেয়া)
আরএম/