আওয়ার ইসলাম: সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে জেলা প্রশাসকের অনৈতিক কর্মের একটি ভিডিও। যা বর্তমানে জামালপুরের ‘টক অব দ্যা টাউন’।
এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর। শুক্রবার দুপুরে সার্কিট হাউসে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ‘আমি মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত অবস্থায় আছি। আপনারা আমাকে একটু সময় দেবেন। প্রকৃত ঘটনা জানতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপনারা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।’
তবে ভিডিওটিতে দেখানো কক্ষটি তার অফিসের বিশ্রাম নেয়ার কক্ষ এবং ভিডিওর ওই নারী তার কার্যালয়ে অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত বলে জেলা প্রশাসক নিশ্চিত করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের এ বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন না করার জন্য অনুরোধ করেন।
ভিডিওটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি একটি সাজানো ভিডিও। একটি হ্যাকার গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছিল। আমি বিষয়টি গুরুত্ব দেইনি। বানোয়াট ভিডিওটি একটি ফেক আইডি থেকে পোস্ট দেয়া হয়।’ ভিডিওটি খন্দকার সোহেল আহমেদ নামে একটি আইডি থেকে পোস্ট করা হলে মুহূর্তে ভাইরাল হয়। বর্তমানে মেসেজে মেসেজে ব্যাপক ছড়িয়ে পড়েছে ভিডিওটি।
৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর তার অফিসের গোপনীয় কক্ষের বেডরুমে সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা নামে এক নারী কর্মচারীকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে খেতে ওই কক্ষের ইলেট্রিক লাইটের সুইচ অফ করছেন।
এছাড়া ওই নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায়ও দেখা যায় তাকে। ফুটেজে দেখা গেছে সিএ এম-২ ক্যামেরায় এটি ধারণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য জেলা প্রশাসকের নারী কেলেঙ্কারি নিয়ে র্দীঘদিন ধরে জামালপুরের নানা মহলে গুঞ্জন, কানাঘুষা চলছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রশাসকের অধিনস্ত এক কর্মচারী জানিয়েছে বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর নিজেকে বাঁচাতে তার সাথে ঘনিষ্ঠ সর্ম্পকিত ঊর্ধ্বতন কর্মকতাসহ এক সাংবাদিক নেতা নিয়ে রাতভর মিটিং করেন। ভোর ৬টায় মিটিং শেষে উপস্থিতরা জেলা প্রশাসকের বাসভবন থেকে বেরিয়ে যান।
আরএম/