আওয়ার ইসলাম: জম্মু-কাশ্মির উপত্যকায় শুক্রবারের জুমার নামাজকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করেছে ভারত। বন্ধ রাখা হয় শহরের প্রধান প্রধান সড়কে অবস্থিত মসজিদগুলো।
শ্রীনগরে জাতিসংঘ দফতর অভিমুখে মিছিলের ঘোষণার পর তা ঠেকাতে অঞ্চলটি একরকম অচল করে দেয় ভারতীয় বাহিনীর সদস্যরা। শহরের বেশ কিছু অঞ্চলে জারি করা হয়েছে কারফিউ। সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুমার নামাজকে কেন্দ্র করে শুত্রুবার সকাল থেকে আবারও আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে কাশ্মির উপত্যকা। শ্রীনগরে ‘জাতিসংঘে চলো’ (ইউএন চলো) নামক বিক্ষোভ ও সহিংসতা হওয়ার আশঙ্কায় স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের।
বড় ধরনের সহিংসতা ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে জাতিসংঘ কার্যালয়ের আশেপাশে এসএসবি, সিআরপিএফ ও জেকেপি সদস্যদের মোতায়েন রাখা হয়েছে।
শ্রীনগর শহরের প্রধান প্রধান সড়কে অবস্থিত মসজিদগুলো শুক্রবার বন্ধ রাখা হয়েছে। খোলা থাকছে কলোনির ভেতরকার মসজিদগুলো।
জাতিসঙ্ঘের পর্যক্ষেক সংস্থার অফিসমুখী সড়কে দুই জায়গায় ব্যারিকেড দেয় ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া নগরীর অন্যান্য স্থানেও সড়কে কাঁটাতারের ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। বেশিরভাগ দোকান-পাট বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয়দের দাবি, চলাচলের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা ও ল্যান্ডফোন যোগাযোগের সুযোগ সীমিত হওয়ার কারণে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। শ্রীনগর শহরের কেন্দ্রীয় এলাকা এখনও অস্থিতিশীল। সেখানকার নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় পাথর নিক্ষেপের মতো ঘটনা সংঘটিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ঘোষণার মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়। জম্মু-কাশ্মিরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে পার্লামেন্টে পাস হয় একটি বিলও।
আর গত ৯ আগস্ট রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে আইনে পরিণত হয় তা। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয় বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। ইন্টারনেট-মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। গ্রেফতার করা হয় সেখানকার বিপুলসংখ্যক স্বাধীনতাপন্থী ও ভারতপন্থী রাজনৈতিক নেতাকে।
-এএ