আওয়ার ইসলাম: পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের প্রেসিডেন্ট সরদার মাসুদ খান গত মঙ্গলবার বলেছেন, ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে গণহত্যার শুরু হয়েছে। কাশ্মীর ইস্যুটি কূটনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে মাসুদ খান বলেন, মোদি সরকার বিশ্বকে বিভ্রান্ত করছে। অধিকৃত কাশ্মীরে অস্থায়ী ডিটেনশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সেখানে গণহত্যা শুরু হয়েছে।
আজাদ কাশ্মীরের প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো দ্বিচারিতা করছে; যেখানে ভারত যুদ্ধাপরাধ করছে।
যদি কাশ্মীর ইস্যুতে কোনও যুদ্ধ শুরু হয় তাহলে সেটি পরমাণু যুদ্ধে রূপ নেবে এবং এতে ২৫০ কোটি মানুষের ওপর প্রভাব পড়বে।
পরমাণু অস্ত্রসমৃদ্ধ এই প্রতিবেশি দুই দেশের মধ্যে পুরো মাত্রায় যুদ্ধ শুরু হতে পারে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন আজাদ কাশ্মীরের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ঝুঁকির বিষয় হচ্ছে যদি একটি সীমিতাকারের যুদ্ধ শুরু হয়, তা সীমিত থাকবে না।
কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠককে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বর্ণনা করেছেন সরদার মাসুদ। তিনি বলেন, ভারতের একক সিদ্ধান্ত এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যাবে কাশ্মীর।
এদিকে বিতর্কিত অঞ্চল ভারত নিজের সঙ্গে যুক্ত করতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছেন আজাদ কাশ্মীরের প্রেসিডেন্ট।
কাশ্মীরের জনগণের আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার মাধ্যমেই দ্বন্দ্ব নিরসন সম্ভব। এসময় অধিকৃত কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সরদার মাসুদ বলেন, অধিকৃত কাশ্মীরে গণহত্যা চালাচ্ছে ভারত।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট নরেন্দ্র মোদির সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে কেন্দ্রশাসিত দুটি অঞ্চল গঠন করা হয়। ভারতের এ পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দিল্লির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক কমিয়ে দেয় পাকিস্তান।
-এটি