আওয়ার ইসলাম: জর্ডান নদীর পশ্চিম তীর ফিলিস্তিনের নাবলুসে অবস্থিত হযরত ইউসুফ আ. সমাধিতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলার ঘটনায় ৫ ফিলিস্তিনি নাগরিক আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে জানা যায়, নাবলুস উপশহরে বসবাসরত শতাধিক ইয়াহুদি ইসরায়েলি সেনাদের সহযোগিতায় হজরত ইউসুফ আ. মাজারে এ আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। এ সময় সেখানকার স্থানীয় ফিলিস্তিনিরা হামলায় বাধা দিলে ইসরায়েলি সেনারা আক্রমণ শুরু করে দেয়। এতে ৫ ফিলিস্তিনি আহত হন।
যুদ্ধ-বিধ্বস্ত জনপদ ফিলিস্তিনে রয়েছে অগণিত-অসংখ্য নবি-রাসুলদের সমাধি। জেরুসালেমে অবস্থিত পবিত্র মসজিদ আকসাও দখল করে নিয়েছে ইসরায়েল। ধীরে ধীরে দলখল করছে ফিলিস্তিনি জনপদ। ফিলিস্তিনের বাড়ি-ঘর ধ্বংস করে ইয়াহুদি বসতি স্থাপন করছে।
পুরো ফিলিস্তিন ও মুসলিম নির্দশন নিশ্চিহ্ন করতে ইসরায়েলি বাহিনীর এটি একটি ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র। হজরত ইউসুফ আ. এর মাজারে হামলাও ধ্বংস কার্যক্রমের অংশ।
আল-আলম নিউজ চ্যানেল সূত্রে জানা যায়, নাবলুস উপশহরের শতাধিক ইয়াহুদি অধিবাসী ইসরায়েলি সেনাদের সহযোগিতায় হজরত ইউসুফ আ. মাজারে হামলা চালায়। এ সময় সেখানকার স্থানীয় ফিলিস্তিনিরা মাজারে হামলায় বাধা দেয়।
মাজারে হামলা চালাতে বাধা দিলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনিদের উপর আক্রমণ করে বসে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আক্রমণে ৫ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, রামাল্লা, আল-খলিল ও বাব আল-মাগরেবায় পৃথক পৃথক হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। ইসরাইলি সেনাদের সঙ্গে সঙ্গে ইয়াহুদিরাও এসব স্থাপনা হামলা চালিয়ে আসছে।
লক্ষ্য একটাই পুরো মসজিদ আল-আকসা ইয়াহুদিদের দখলে নেয়া। বৈধ মুসলিম ও ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমি থেকে তাড়িয়ে দেয়া। দিন দিন বাড়ছে ইয়াহুদিদের এ ষড়যন্ত্র ও হামলা।
সম্প্রতি তারা ইসলাম বিরোধী স্লোগান দিয়ে চালাচ্ছে এসব অপকর্ম। ইসরাইলি পুলিশ ইয়াহুদিদের শুক্র ও শনিবার ছাড়া অন্য দিনগুলোতে মাসজিদুল আকসায় আক্রমণ চালানোর ঘৃণ্য অনুমতি দিয়েছে।