আব্দুল্লাহ আফফান: আল্লাহ তায়ালা মানুষকে যেমন সুস্থ রাখে, তেমন রোগ-বালাইও দেয়। অনেক সময় পরীক্ষা নেয়ার জন্যও আল্লাহ আমাদের রোগ দিয়ে থাকেন। আল্লাহ তায়ালা যেমন রোগ দিয়েছেন তেমনই রোগ নিরাময়ের জন্য ওষুধও দিয়েছেন।
রোগ মুক্তিরজন্য মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে নিচের দোয়াগুলো পাঠ করলে ইনশাল্লাহ রোগী রোগ মুক্তি লাভ করবেন।
اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبِ الْبَاسَ وَاشْفِ وَأَنْتَ الشَّافِي .لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ، شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا”متفق عليهউচ্চারণ: আল্লাহুম্মা রাব্বান্নাসি আযহিবিল বা'সা, ওয়াশফি ওয়াআন্তাশ-শাফী, লা শিফাআ ইল্লা শিফাউকা, শিফা’আল-লা য়্যুগাদিরু সাক্বামা।
অর্থ: হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক! তুমি কষ্ট দূর কর এবং আরোগ্য দান কর। (যেহেতু) তুমিই রোগ নিরাময়কারী। তুমি ছাড়া আর কোনো নিরাময় দানকারী নেই, তুমি এমনভাবে রোগ নিরাময় কর, যেন তা রোগকে নির্মূল করে দেয়। বুখারী ও মুসলিম।
ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ ﷺ، قَالَ: مَنْ عَادَ مَرِيضاً لَمْ يَحْضُرْهُ أَجَلُهُ، فَقَالَ عِنْدَهُ سَبْعَ مَرَّاتٍ: أَسْأَلُ اللهَ العَظيمَ، رَبَّ العَرْشِ العَظِيمِ، أَنْيَشْفِيَكَ
ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি এমন কোন রুগ্ন মানুষকে সাক্ষাৎ করবে, যার এখন মরার সময় উপস্থিত হয়নি এবং তার নিকট সাতবার এ দোয়াটি বলবে, আসআলুল্লাহাল আযীম, রাব্বাল আরশিল আযীম, আইয়াশফিয়াক’। অর্থ: আমি সুমহান আল্লাহ, মহা আরশের প্রভুর নিকট তোমার আরোগ্য প্রার্থনা করছি, আল্লাহ তাকে সে রোগ থেকে মুক্তি দান করবেন। (আবু দাউদ ৩১০৬, তিরমিযি ৩০৮৩, আহমদ ২১৩৮, ২১৮৩, ২৩৮৮)
-এএ