আওয়ার ইসলাম: হন্ডুরাসে ডেঙ্গু মহামারী আকার ধারণ করেছে। ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি দেখা দিয়েছে লা পাজ শহরে। জায়গা সঙ্কুলান হচ্ছে না হাসপাতালগুলোতে। দেশটির সরকারি ৩২টি হাসপাতালের ২৬টিতেই উপচে পড়ছে ডেঙ্গু রোগিদের ভিড়।
গত অর্ধ-শতকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ডেঙ্গু মহামারী হিসেবে দেখা এ সংক্রমণকে। ইতোমধ্যে এ জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ২৮ হাজার মানুষ। এর মধ্যে শিশুসহ প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৪ জন।
করিডোরেও সেবা দেয়া হচ্ছে অনেককে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। প্রতিদিন নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
স্থানীয় এ হাসপাতালের কর্মকর্তা মার্কি অ্যান্টনিও রোডস জানান, আমাদের এখানে আর জায়গা নেই। পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে হচ্ছে। কেবল মাত্র জরুরি অবস্থা দিকে নজর দেয়া হচ্ছে। খুব প্রয়োজন না হলে অপারেশনও করা হচ্ছে না।
এমতাবস্থায় কর্মকর্তারা স্কুলে বন্ধ করে সেগুলোকে সাময়িক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রুপান্তরিত করার কথা ভাবছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট হুয়ান অরলান্ডো হার্নান্দেজ দেশের ২৯৮ জন পৌরসভা মেয়রকে সোমবা রাজধানীতে ডেকেছেন। এ সঙ্কট দূর করতে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।
হার্নান্দেজ বলেন, বর্তমানে এ মহামারী থেকে মুক্তি পাওয়ার একটাই উপায়- তা হচ্ছে, মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করে দেয়া। দেশের প্রত্যেককে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। নিজ নিজ বাড়ি, কর্মস্থল ও সকল সরকারি স্থাপনা থেকে দূর করতে হবে মশা। মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে একটি বিশেষ সরকারি অভিযানের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
দেশটিতে তিন মাসব্যাপি বর্ষাকাল শুরু হতে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে দেশটিতে। আগামী দিনগুলোতে এ সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষাকালে মশাদের প্রজননের জন্য উপযুক্ত জায়গার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এতে বাড়বে মশার সংখ্যা। পাশাপাশি বাড়বে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা।
-এএ