আওয়ার ইসলাম
ডেস্ক
প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম! আমি জানতে চাই, আমার কাছে একটা ছাগল আছে, সেটা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গেলে আমি মান্নত করি আমার এ ছাগলটা সুস্থ হলে আমি এটা দিয়ে কুরবানী করবো, পরে যখন ছাগলটা সুস্থ হয় তাকে কুকুর কামড় দেয়, এখন আমার প্রশ্ন হল আমি ছাগলটা কি করবো? যদি খেয়ে ফেলি রোগ হওয়ার আশংকা আছে, যদি বিক্রি করে ফেলি তাহলে কি আল্লাহর দরবারে কোন প্রশ্নের সম্মুখীন হবো?
জবাব: ওয়ালাইকুম আসসালাম! এ বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কুকুর কামড়ালে ছাগলটির যদি জলাতঙ্ক রোগ হয়ে থাকে, তাহলে উক্ত বকরীর গোস্ত খাওয়া যাবে না। কারণ এতে করে জলাতঙ্ক রোগটি খাদ্রগ্রহণকারী ব্যক্তির মাঝে সংক্রমণ হবার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু এখনো জলাতঙ্ক রোগের কোন প্রতিশেধক বাংলাদেশে পাওয়া গেছে বলে আমাদের জানা নেই, তা এটি মরণঘাতি একটি ব্যাধি।
তাই এক্ষেত্রে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। সুতরাং কুকুর কামড়ানো দ্বারা উক্ত ছাগলের জলাতঙ্ক রোগ হলে, তাকে বিক্রি করা কিছুতেই বৈধ হবে না। বরং উক্ত পশুটিকে জবাই করে পুতে ফেলা উচিত।
আর যদি কুকুর কামড় দেয়ায় জলাতঙ্ক বা এমন কোন ক্ষতিকর রোগ না হয়ে থাকে, তাহলে সেটি দিয়ে কুরবানী করাতে কোন সমস্যা নেই।
উবায়েদ বিন ফাইরূজ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বারা বিন আযেব রাঃ কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, কুরবানীর জন্য কোন ধরণের পশু অবৈধ (অর্থাৎ জবাইয়ের অযোগ্য) তখন তিনি বলেন, একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে দাঁড়ান। আমার আঙ্গুলগুলো তার আঙ্গুল হতে ছোট এবং আমার আঙ্গুলগুলোরে গিরাগুলোও তার আঙ্গুলের গিরা থেকে ছোট ছিল। তিনি চারটি আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে বলেন, চার ধরণের পশু কুরবানী করা অবৈধ। ১. স্পষ্ট কানা। ২. অসুস্থ্য যা স্পষ্ট বুঝা যায়, ৩. লেংড়া, যা বাহ্যত দেখা যায় ৩. এত দুর্বল যে, হাড় বেরিয়ে গেছে। (আবু দাউদ, হাদীস নং-২৮০২, ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩১৪৪)।
হযরত আনাস বিন মালিক রা. থেকে বর্নিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কেউ প্রকৃত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তা পছন্দ করবে, যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে। (বুখারী, হাদীস নং-১৩)।
-এএ