রকিব মুহাম্মদ : পবিত্র মক্কা নগরীর মসজিদে হারামের অদূরে অবস্থিত একটি প্রসিদ্ধ কূপ ‘জমজম’। পবিত্র কাবা ও এই কূপের মধ্যে দূরত্ব হলো মাত্র ৩৮ গজের। জমজম নবী ইবরাহিম আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সন্তান নবী ইসমাঈল আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর স্মৃতিবিজড়িত কূপ।
বিশেষভাবে হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের জন্য এবং পৃথিবীর সব মুসলমানের জন্য সাধারণভাবে জমজমের পানি পান করা মুস্তাহাব। সহিহ হাদিসে বিধৃত হয়েছে যে নবীজি সাল্লাল্লাহু অঅলাইহি ওয়া সাল্লামা নিজে জমজম থেকে পানি পান করেছেন। -সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৫৫৬
হজরত আবু জর রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জমজমের পানি বরকতময়, স্বাদ অন্বেষণকারীর খাদ্য।’ -সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৪৭৩
জমজমের পানিকে মুসলিমরা পবিত্র ও শেফাদানকারী নেয়ামত হিসেবে পান করে থাকে। পবিত্র এ পানি পান করার ক্ষেত্রে হাদিসে একটি দোয়াও বর্ণিত হয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. যখন জমজমের পানি পান করতেন, তখন একটি দোয়া পড়তেন। এ জন্য এই দোয়াটি পড়া সুন্নত, এটি সাহাবায়ে কেরামের সুন্নত। তিনি সেই দোয়াটির মধ্যে তিনটি বিষয়ে আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালার নিকট দোয়া প্রার্থনা করতেন।
দোয়া তিনটি হলো, ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট উপকারী এলেম চাচ্ছি; দ্বিতীয় হলো, প্রশস্ত রিজিক আর তৃতীয়, যেই জিনিসটি চাইতেন সেটি হলো, সমস্ত রোগব্যাধি থেকে শিফাহ।’
একজন মানুষের এই তিনটি জিনিস যদি নিশ্চিত হয়, তাহলে তাঁর আর কিছুই লাগে না। তার মৌলিক বিষয়গুলো পূরণ হয়ে গেল। এই জন্য আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. এই দোয়াটি করতেন। সুতরাং, জমজমের পানি পান করার সময় এই দোয়াটি পড়া উত্তম এবং সুন্নাত।
اللهم اني اسالك علما نافعا ورزقا واسعا وشفاء من كل داء
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ই’লমান নাফিআ’; ওয়া রিযক্বান ওয়াসিআ’; ওয়া আ’মালান সালিহা; ওয়া শিফাআম মিং কুল্লি দা-য়িন।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদের উপকারী জ্ঞান দান করুন; আমাদের রিজিকে বরকত দিয়ে দিন; সকল অসুস্থতাতে শেফা বা সুস্থতা দান করুন।’
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জমজমের পানি পানের সময় সম্মানের সঙ্গে দাঁড়িয়ে উল্লেখিত দোয়া পড়ে তা পান করার তাওফিক দান করুন। পানি পানের ওসিলায় সবাইকে সুস্থতা দান করুন। রিজিক বৃদ্ধি করে দিন এবং দুনিয়া ও আখিরাতের উপকারী জ্ঞান দান করুন। আমিন।
আরএম/