আওয়ার ইসলাম: ঋণ থেকে মুক্তির জন্য হাদিস শরিফে দুটি বিশেষ দোয়া বর্ণিত হয়েছে। হাদিসের অন্যতম বিশুদ্ধ কিতাব তিরমিজি শরিফের এক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, একবার হজরত আলী রা.-এর কাছে এক ব্যক্তি তার ঋণ পরিশোধের জন্য কিছু সাহায্য চাইলেন।
এসময় হজরত আলী রা. তাকে বললেন, আমি কি তোমাকে কয়েকটি শব্দ শিক্ষা দেব না, যা আমাকে রাসূলুল্লাহ সা. শিক্ষা দিয়েছেন? যদি তুমি এটা পড় তাহলে আল্লাহই তোমার ঋণমুক্তির ব্যাপারে দায়িত্ব নিবেন। যদি তোমার ঋণ পর্বতসমানও হয়। এরপর হজরত আলী রা. ওই ব্যক্তিকে বললেন পড়-
اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكِ عَمَّنْ سِوَاكَ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাকফিনী বি হালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনী বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।
অর্থ : হে আল্লাহ! হারামের পরিবর্তে তোমার হালাল রুজি আমার জন্য যথেষ্ট করো। আর তোমাকে ছাড়া আমাকে কারো মুখাপেক্ষী কোরো না এবং স্বীয় অনুগ্রহ দ্বারা আমাকে স্বচ্ছলতা দান কর। -তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৬৩, আহমদ ১৩২১
অন্য এক হাদিসে এসেছে, হজরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. চিন্তাযুক্ত অবস্থায় উক্ত দোয়া পড়তেন।
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আউযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-‘আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-বুখলি ওয়াল-জুবনি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন দ্বালা‘য়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজা-ল। -বুখারি, হাদিস : ২৮৯৩
অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।”
আরএম/