আব্দুল্লাহ আফফান: ইহরাম শব্দটি حَرَامٌ (হারাম) শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ কোনো জিনিসকে নিজের ওপর হারাম বা নিষিদ্ধ করে নেয়া।
ইহরাম হজ ও ওমরার প্রথম ফরজ কাজ। পুরুষদের জন্য সেলাইবিহীন দুই টুকরো সাদা কাপড় আর নারীদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যময় শালীন পোশাক পরিধান করাই হলো ইহরাম।
তাকবিরে তাহরিমার দ্বারা স্বাভাবিক অবস্থার হালাল ও বৈধ কাজগুলো নামাজি ব্যক্তির জন্য নামাজ আদায়ের সময় হারাম হয়ে যায়। ঠিক তেমনি ভাবে ইহরামের মাধ্যমে হজ ও ওমরা পালনকারী ব্যক্তির জন্যও স্বাভাবিক অবস্থার অনেক হালাল কাজ হারাম হয়ে যায়।
ইহরামের পর যে দোয়া পড়বেন: হজ বা ওমরা সহজে সম্পাদনের জন্য ইহরামের উদ্দেশ্যে গোসল করে ইহরামের পোশাক পরেই ইমাম কুদুরি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এ দোয়াটি পড়তে বলেছেন, اَللَّهُمَّ اِنِّي اُرِيْدُ (العُمْرَةَ - الْحَجَّ) فَيَسِّرْهُ لِيْ وَ تَقَبَّلْهُ مِنِّي উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি উরিদুল উমরাতা/হাজ্জা ফাইয়াসসিরহু লি ওয়া তাকাব্বালহু মিন্নি
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি ওমরার/হজের ইচ্ছা করছি, আপনি তা আমার জন্য সহজ করে দিন এবং আমার পক্ষ থেকে তা কবুল করুন।
তারপর ২ রাকআত নফল নামাজ পড়া। অতঃপর এক তালবিয়া পড়া। ইহরাম বাধার পর হজ বা ওমরা পালনেচ্ছুগণ বেশি বেশি তালবিয়া, দরূদ ও নিজেদের ইচ্ছা মতো দোয়া পাঠ করবে।
তবে ইহরামের পর এ দোয়াটি পাঠ করা সুন্নাত, اَللَّهُمَّ اِنِّيْ اَسْئَلُكَ رِضَاكَ وَ الْجَنَّةَ وَ اَعُوْذُبِكَ مِنْ غَضَبِكَ وَ النَّارِ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা রিদাকা ওয়াল জান্নাতা ওয়া আউ’জুবিকা মিন গাদাবিকা ওয়ান্নারি।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টি ও জান্নাতের আশা করছি এবং আপনার অসন্তুষ্টি ও জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।
-এএ