আওয়ার ইসলাম: ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান উত্তেজনার মধ্যেই সম্ভাব্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে মার্কিন মিত্র রাষ্ট্র ইসরায়েল।
আজ বুধবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী শক্তি হয়ে ওঠা ইরানকে মোকাবেলায় আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোকে ফুসলাচ্ছে ইসরায়েল।
সেইসঙ্গে তেহরানের ওপর নতুন করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপে ট্রাম্প প্রশাসনকে উৎসাহিত করে আসছে দেশটি।
এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র তার সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করার পরই ওমান উপসাগরে তেলের ট্যাঙ্কারে হামলা এবং মার্কিন সামরিক ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনা ঘটে। এ দুটি ঘটনা যুদ্ধর সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দিলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ইরান।
১ জুলাই ইরানি পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক কমিশনের প্রধান মোজতবা জলনৌর হুমকি দিয়ে বলেন, ইরানে মার্কিন আগ্রাসন শুরু হওয়ার আধঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলকে ধ্বংস করে দেয়া হবে।
এর জবাবে পরদিন মঙ্গলবার এক নিরাপত্তা সম্মেলনে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাটজ জানান, ইরানি শাসকরা ভুল করলে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করা হবে, এর জন্য আমরা অবশ্যই প্রস্তুত।
২০১৫ সালের জুলাই মাসে ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা সই করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন ও রাশিয়া।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর হওয়া এ সমঝোতা থেকে গেলো বছরের মে মাসে একতরফাভাবে বেরিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকে তেহরানের ওপর কয়েক দফা নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন।
-এটি