আওয়ার ইসলাম: সাতক্ষীরায় ধারালো দায়ের কোপে শাহিন গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় সন্দেহভাজন আসামি নাইমুল ইসলাম নাইমসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের বাবরালী মোড়লের ছেলে নাইমুল ইসলাম নাইম (২৪), সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার আলাইপুর গ্রামের ভোলাই পাড়ের ছেলে আরশাদ পাড় ওরফে নুনু মিস্ত্রি (৬৫) ও সদর উপজেলার গোবিন্দকাটি গ্রামের হামজের আলীর ছেলে বাকের আলী (৪৫)।
পুলিশ সুপার জানান, বৃহস্পতিবার নাইমুলসহ অজ্ঞাত আরো তিনজন গোপন বৈঠক করে নাইমুলের ভ্যান ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে। পরে একটা ভাড়ার কথা বলে শাহিনকে শুক্রবার সকালে কেশবপুর বাজারে আসতে বলে। সাড়ে তিনশ’ টাকা ভাড়া মিট করা হয়। সকালে তারা একসাথে শাহীনের ভ্যান যোগে কেশবপুর হাসপাতালের সামনে দিয়ে সরসকাটি চৌগাছা হয়ে ধানদিয়া হামজামতলা মোড়ে এসে ফাঁকা জায়গায় তার ভ্যানটি থামাতে বলে।
এরপর ভ্যান রেখে শাহীনকে বাড়ি যেতে বলে। ভ্যান দিতে রাজি না হলে শাহীনের মাথায় জোরে কায়েকবার আঘাত করে তাকে পাট ক্ষেতে ফেলে দেয়। পরে ভ্যানটি নিয়ে ঝাউডাঙ্গার উদ্দেশে রওনা দেয় ওই চারজন। ঝাউডাঙ্গা বাজারে এসে তারা প্রথমে বাকের আলীর কাছে চারটি ব্যাটারি ছয় হাজার ২৩৬ টাকায় বিক্রি করে। এরপর তারা কলারোয়া উপজেলার মির্জাপুর মোড়ে গিয়ে আরশাদ পাড় ওরফে নুনু মিস্ত্রির কাছে ভ্যানটি সাত হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনার পর গত দুই দিনে যশোর পুলিশের সহযোগিতায় সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুত মিশের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল প্রথমে কেশবপুর উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন নাইমুল ইসলাম নাইমের বাড়ি থেকে তাকে আটক করে। এরপর তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ভ্যানসহ তার সহযোগী কলারোয়ার আলাইপুর থেকে নুনু মিস্ত্রি ও গোবিন্দকাটি থেকে বাকের আলীকে গ্রেফতার করা হয়।
এএ