আওয়ার ইসলাম: আবাসিক ও শিল্পসহ সব শ্রেণির গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ল গ্যাসের। আজ থেকে আবাসিক গ্রাহকদের রান্নাঘরে যাদের দুই চুলা আছে তাদের দিতে হবে ৯৭৫ টাকা। আগে ছিল ৮০০ টাকা। এক চুলার জন্য দিতে হবে ৯২৫ টাকা। আগে দাম ছিল ৭৫০ টাকা। উভয় ক্ষেত্রেই গ্রাহকদের এখন থেকে ১৭৫ টাকা বেশি গুনতে হবে।
আর যেসব আবাসিক গ্রাহকের মিটার আছে, আজ থেকে তাদের প্রতি ঘনমিটার গ্যাস ১২ টাকা ৬০ পয়সা দিয়ে কিনতে হবে, যা আগে ছিল ১১ টাকা ২০ পয়সা। গড়ে সব খাতে ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে।
রোববার বিকভলে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম গ্যাসের দাম বৃদ্ধির এ ঘোষণা দেন।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিইআরসি কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসি সচিব মো. রফিকুল ইসলাম এবং কমিশন সদস্য মিজানুর রহমান ও রহমান মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১ জুন সব পর্যায়ে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিল।
গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে বিইআরসি’র পক্ষ থেকে বলা হয়, উচ্চ মূল্যের এলএনজি আমদানির কারণেই সমন্বয় করতে হয়েছে গ্যাসের দাম।
দেশের জ্বালানি সংকট কাটাতে দুই দফায় আমদানি করা হয় উচ্চমূল্যের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস এলএনজি। আর তা সমন্বয়ে আরেক দফা বাড়ল গ্যাসের দাম।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মিটারযুক্ত চুলার ক্ষেত্রে প্রতি ঘনমিটারে ৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১২ টাকা ৬০ পয়সা করা হয়। নতুন দামে সিএনজিতে প্রতি ঘনমিটার ৪৩ টাকা, শিল্প ও চা বাগানে ১০টাকা ৭০ পয়সা, বিদ্যুতে ৪ টাকা ৪৫ পয়সা, ক্যাপটিভ পাওয়ারে ১৩ টাকা ৮৫ পয়সা টাকা,সার কারখানায় ৪ টাকা ৪৫ পয়সা, হোটেল রেস্টুরেন্টে ২৩ টাকা গুণতে হবে। আর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে প্রতি মিটারে আগের মতোই ১৭ টাকা ৪ পয়সা থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, জাতীয় গ্রিডে উচ্চমূল্যের সাড়ে ৮০০ ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ হবে, সে হিসেব ধরে নতুন এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আর নতুন করে দাম বাড়ানোর কারণে আগামী অর্থবছরে গ্রাহকদের কাছ থেকে কাটা হবে ৮ হাজার ৬২০ কোটি টাকা।
এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য মো. মিজানুর রহমান বলেন, এলএনজি দামটা অনেক বেশি এবং আমাদের চাহিদাও বেশি। সেজন্য দামটা বেড়ে যাচ্ছে।
এর আগে সবশেষ ২০১৭ সালে সব শ্রেণির ভোক্তার জন্য বাড়ানো হয় গ্যাসের দাম।
আরএম/