আওয়ার ইসলাম: ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট পাস করেছে জাতীয় সংসদ। যাতে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে পৌনে ৪ লাখ কোটি টাকা।
আজ রোববার নির্দিষ্টকরণ বিল ২০১৯ পাসের মধ্য দিয়ে সংসদে বাজেট গৃহীত হয়। বাজেটের পাশাপাশি নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হচ্ছে ১লা জুলাই থেকে।
সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের- এ প্রতিপাদ্যে ১৩ জুন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। টানা ৩য় মেয়াদে সরকার গঠন করা আওয়ামী লীগের এ মেয়াদের প্রথম বাজেট এটি।
রোববার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধরীর সভাপতিত্বে সকালে অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনে আগামী অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এবারের বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত উন্নয়ন বাজেটের চেয়ে প্রায় ২২ শতাংশ বেশি। এবার পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে তিন লাখ ১০ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬০ হাজার ১০৯ কোটি টাকা যাবে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে।
নতুন অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। যার ৮০ শতাংশের বেশি যোগান দেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এবারও সবচেয়ে বেশি কর আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে। নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ খাতে এক লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা আদায়ের উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চান অর্থমন্ত্রী।
বাজেট প্রস্তাবে আয় ও ব্যয়ের সামগ্রিক ঘাটতি থাকছে প্রায় এক লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। ঘাটতি পূরণে বৈদেশিক ঋণ ধরা হয়েছে ৬৩ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ ধরা হয়েছে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা। বাজেটে মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে সাড়ে ৫ শতাংশ। আর প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২ ভাগ।
বাজেট ব্যয়ের বাইরে, সরকারের বিভিন্ন ধরনের সংযুক্ত ও দায়ের জন্য নির্দিষ্টকরণ বিল ২০১৯ কণ্ঠভোটে পাস হয়। বাজেটের ওপর সংসদে উত্থাপিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খাতের ৫৯টি মঞ্জুরি দাবির বিপরীতে বিরোধী দলের সদস্যরা ৪৮৪টি বিভিন্ন ধরনের ছাঁটাই প্রস্তাব আনেন। পরে আলোচনার পর প্রস্তাবগুলো কন্ঠভোটে বাতিল হয়।
-এটি