আওয়ার ইসলাম: বড় কোনো পরিবর্তন ছাড়াই সংসদে পাস হলো অর্থবিল ২০১৯। এর আগে কর কাঠামোতে সামান্য কিছু পরিবর্তনের বিষয় সংসদের সামনে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ বাজেটগুলোর পরিবর্তনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে শেয়ারবাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের করমুক্ত আয়ের সীমা ৫০ হাজার টাকা বহাল রাখা হয়েছে। এছাড়া, রিজার্ভ ও স্টক ডিভিডেন্ডে কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে
ব্যাংক ঋণের সুদের হার এক অংকে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী তার প্রস্তাবে বলেন, ‘খেলাপি ঋণ হ্রাসের জন্য অর্থমন্ত্রী যে উদ্যোগের ঘোষণা দিয়েছেন তা অত্যন্ত সময় উপযোগী। পাশাপাশি আমার সুপারিশ থাকবে যেন ব্যাংক ঋণের উপর সুদের হার এক অংকের মধ্যে রাখা হয় অর্থাৎ সিঙ্গেল ডিজিট।
এটি করা গেলে শিল্প ও ব্যবসা খাতকে প্রতিযোগিতা সক্ষম করে গড়ে তোলা সক্ষম হবে। কারণ, উচ্চহারে সুদ থাকলে কোনো ইন্ডাস্ট্রি বিকশিত হবে না।’
দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে তাঁত শিল্পে ব্যবহৃত সুতার উপর ৫ শতাংশ মূসকের পরিবর্তে প্রতি কেজি সুতায় ৪ টাকা হারে সুনির্দিষ্ট করের প্রস্তাব করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশীয় শিল্পের প্রতিরক্ষণ, প্রণোদনা প্রদানে প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে শুল্কহার হ্রাস-বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তবে, সেক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে, যাতে এর ফলে দেশীয় কাগজ ও গ্যাস উৎপাদনকারী শিল্পসহ অন্যান্য শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। দেশীয় মুদ্রণ শিল্পের প্রণোদনা দেওয়া ও বন্ড ব্যবস্থার অপব্যবহার রোধে দেশে তৈরি হয় না এমন পেপারগুলোর শুল্কহার যৌক্তিক করা হবে।’
-এটি