আওয়ার ইসলাম: সংসদে বিএনপির একমাত্র সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, বাজেট বরাদ্দের বেশির ভাগ লুটপাটে চলে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এ বাজেট থেকে সরকারের চরিত্র আমরা দেখলাম। দেখলাম রাষ্ট্রের প্রায় লোকের কাছ থেকে সম্পদ পুঞ্জীভূত করে অল্পকিছু মানুষের হাতে দিয়ে দেয়া। তাই দু-একটি খাতে বরাদ্দ কিছু বাড়ানো কিংবা কিছুটা কমানো সরকারের মূল চরিত্রকে কোনোভাবেই প্রভাবিত করবে না।
শনিবার জাতীয় সংসদে অর্থবিল ২০১৯ এর ওপর জনমত যাচাইয়ের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে উপস্থিত ছিলেন।
কর নিয়ে সমালোচনা করে তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত পরোক্ষ কর ৭২ শতাংশ থেকে কমে ৩০ শতাংশে না আসবে,যতক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষাব্যয় জিডিপির ২ দশমিক ১ শতাংশ থেকে বেড়ে কমপক্ষে ৬ শতাংশে না দাঁড়াবে, যতক্ষণ পর্যন্ত স্বাস্থ্যব্যয় জিডিপির ১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫ শতাংশে না আসবে এবং ৪ কোটি দরিদ্র ও ২ কোটি হতদরিদ্র মানুষের দেশে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যয় ১ শতাংশের পরিবর্তে ৩ শতাংশ না হবে, ততক্ষণ দেশের মূল জনগোষ্ঠীকে এই বাজেট কোনোভাবেই প্রভাবিত করতে পারবে না।
বিএনপির এ নারী সাংসদ বলেন, যতটুকু বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে তার বেশির ভাগই চলে যাচ্ছে লুটপাটে। যে কারণে আমরা এখন ব্যাংক খাতে দেখি হাহাকার। ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার ওপর থাকে মন্দঋণ। এক দশকে পাচার হয়ে যায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা।
বেগমপাড়া তৈরি হয় কানাডায় অথবা মালয়েশিয়ায় তৈরি হয় সেকেন্ড হোম। দুইদিন আগেই খবর এসেছে সুইস ব্যাংকে নাকি বাংলাদেশিদের ১ বছরে ১৩০০ কোটি টাকা জমা হয়েছে। অথচ দেখা যাচ্ছে দিনের শেষে সেই ধনীদের তোষণকারী ও গরিবদের বিপক্ষে যাওয়া বাজেট।
-এএ