মু. আতাউর রহমান: বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই একসঙ্গে গেঁথে আছে। তাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যই বেগম জিয়ার মুক্তি প্রয়োজন।
তিনি মুক্তি পেলেই গনতন্ত্র মুক্তি পাবে, তাকে মুক্ত করা গেলেই গনতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। ঐজন্যই সরকার বেগম জিয়াকে মুক্তি দিতে দেরি করছে। কারণ সরকার জানে, তারা জনগণের উপর যেভাবে দুঃশাসন-ফ্যসিবাদ ও অগণতান্ত্রিক আচরণ চালিয়ে যাচ্ছে তা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত থাকলে কোন ভাবেই সম্ভব হতো না এজন্যই সরকার কৌশলে বেগম জিয়াকে মুক্তি দিচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত এক সংহতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বেগম জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনরায় জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এ সংহতি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান বলেন, বর্তমান সরকার যানজট নিরসনের ব্যাপারে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। দিনে দুপুরে রাস্তায় মানুষ হত্যা হয়, তার কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না।
মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদেরকে রাস্তায় বসে দাবি আদায় করতে হয়। সাংবাদিক হত্যার বিচার হয় না। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার পর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু ৪৮ বছরেও গ্রেফতার হবে কি-না তার হিসাব করতে হয়।
এ ধরনের সরকার জনগণের মাথায় সিন্দাবাদের ভূতের মতো চেপে থাকবে তা কোন ভাবেই সম্ভব হবে না। আমাদেরকে তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে বেগম খালেদা জিয়া ও গনতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে সংহতি সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফারুক রহমান, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের মহাসচিব জাকির হোসেন, মহানগর বিএনপি নেতা ফরিদ উদ্দিন, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু প্রমুখ।
-এএ