আওয়ার ইসলাম: ‘আমার ছেলেকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ছেলেকে তো আর ফিরে পাবো না, প্রশাসনের কাছে অনুরোধ যাতে করে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। আমার কিছু চাওয়ার নাই, আমি সুষ্ঠু বিচার চাই’ ছেলের খুনিদের এভাবেই শাস্তির দাবি জানান বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বাসিন্দা নিহত রিফাত শরীফের বাবা দুলাল শরীফ।
বুধবার বেলা ১টার দিকে স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফ নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নয়নের নেতৃত্বে ৪-৫ দুর্বৃত্ত রিফাতকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়েরক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ সময় তার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় চিকিৎসক বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল ৪টার দিকে রিফাত মারা যান তিনি।
রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বলেন, তার পুত্রবধূকে প্রতিনিয়ত উত্ত্যক্ত করাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর পোস্ট দিত। এর প্রতিবাদ করায় তার ছেলেকে নয়ন তার দলবল নিয়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়েহত্যা করে।
ছেলের হত্যার বিচারের দাবি জানিয়ে দুলাল শরীফ বলেন, ‘আমার একটাই আশা, এ ধরনের সন্ত্রাসী যারা আছে, তাদের বিচার হওয়া উচিত। হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমার কিছু চাওয়ার নাই। আমার সন্তান চলে গেছে, সে তো আর ফিরে আসবে না। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই। প্রশাসনের কাছে এটাই আমার দাবি।’
রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও দ্রুত ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়। ভিডিওটিতে দেখা যায়, সন্ত্রাসী দুই যুবক ধারালো দা দিয়ে একের এর এক কোপাতে থাকে রিফাতকে। এ সময় তাঁর স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি হামলাকারী দুই যুবককে বারবার প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
তাঁর স্ত্রী একজনকে আটকানোর চেষ্টা করলে দ্বিতীয়জন হামলা চালায়, দ্বিতীয়জনকে থামানোর চেষ্টা করলেও অন্যজন রিফাতকে কোপাতে থাকে। আয়েশার চিৎকারে এলাকা প্রকম্পিত হলেও আশপাশের লোকজনের মধ্যে একজন ছাড়া আর কেউ ভয়ে এগিয়ে যায়নি বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।