আওয়ার ইসলাম: আপত্তিকর ভাষায় দুই সাংবাদিককে নোটিশ দেয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মকর্তা শেখ মো. ফানাফিল্যাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ কথা জানিয়েছেন। তবে কতদিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে হবে তা তিনি নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি।
প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে দু’জন সাংবাদিককে ডাকা হয়েছিল। তাদের কাছে পাঠানো চিঠির ভাষা দুরকম হয়েছে।
এ বিষয়টি কমিশনের নজরে এসেছে। কমিশন অবগত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে দায়িত্বে অবহেলার জন্য শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, সাক্ষীদের জন্য চিঠির যে ফরম্যাট সেই ফরম্যাটেই চিঠি পাঠানো হয়েছে দু’জন সাংবাদিককে।
এর আগে সকালে ধানমন্ডিতে এক অনুষ্ঠানে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, যদি তদন্ত কর্মকর্তারা নোটিশে ব্যত্যয় ঘটায় তাহলে আপনারা আমাদের কাছে ক্লেম করতে পারেন।
যেটা আমি জানি, চিঠির একটা ফরম্যাট থাকে সেই ফরম্যাটে যদি চিঠি না দিয়ে থাকে তাহলে আমরা তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
তিনি বলেন, কোনও মামলায় সহযোগিতা করা আপনাদের দায়িত্ব। কমিশন কখনও নোটিশ ইস্যু করে না। তদন্ত কর্মকর্তারা তা করে থাকেন। তারা যদি কোনও ভুল করে তাহলে হয় কোর্টে যাবেন, নয়তো কমিশনকে জানাবেন।
দুদকের পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের দলনেতা শেখ মো. ফানাফিল্যা স্বাক্ষরিত নোটিশে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহারের প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে দুদক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন সাংবাদিকরা।
এরই এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করে প্রণব জানান, দুই চিঠিতে দুই রকম ভাষা ব্যবহারের বিষয়টি কমিশনের নজরে এসেছে। কমিশন তার (ফানাফিল্যাহ) দায়িত্ব অবহেলার কারণে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এ ছাড়াও কেন দুই চিঠির ভাষা দু’রকম হলো তা জানাতে তাকে কারণ দর্শনোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুদকের পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের প্রধান শেখ মো. ফানাফিল্যা স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠিতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ প্রতিনিধি দীপু সারোয়ার ও বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন নিউজের জেষ্ঠ্য প্রতিবেদক ইমরান হোসেন সুমনকে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
দুদকের দুটি চিঠিতেই অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ডিআইজি মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে আপনার সাক্ষ্যগ্রহণ ও শ্রবণ একান্ত প্রয়োজন।
এছাড়া বলা হয়েছে, ‘উল্লিখিত অভিযোগের বিষয়ে আগামী ২৬/০৬/২০১৯ খ্রি: তারিখ ১০.৩০ ঘটিকায় নিম্নস্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হল। অন্যথায় আইনানুগ কার্যধারা গৃহীত হবে।’
-এটি