আওয়ার ইসলাম: জামালপুরের বকশিগঞ্জে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে তদন্তকেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ফেরদৌস হোসেনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ওই স্কুলছাত্রীর মা এবং ইউপি সদস্য থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে স্কুলছাত্রীর মা বলেন, স্কুলে যাতায়াতের পথে মাঝেমধ্যেই তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতেন এএসআই ফেরদৌস হোসেন। তিনি ইউপি সদস্য বলে নানা অজুহাতে তার বাড়িতে যাতায়াত করতেন ওই এএসআই।
৬ জুন সকালে বাড়িতে অন্য কেউ না থাকায় এএসআই তার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে মেয়ের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে পালিয়ে যান এএসআই ফেরদৌস হোসেন।
১৯ দিন পর অভিযোগ করার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বকশিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম মাহবুবুল হককে এ ঘটনা জানানো হলে তিনি সমঝোতার আশা দেন। কিন্তু তিনি বিষয়টি সমাধান না করে অভিযুক্ত এএসআইকে পুলিশ লাইনে বদলি করেন। তাই পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিতে দেরি হয়েছে। তার মেয়ের ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এএসআইয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
তবে বকশিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম মাহবুবুল হক দাবি করেন, ইউপি সদস্য এ ধরনের কোনো অভিযোগ নিয়ে তার কাছে যাননি। তাই তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। রাবেয়া বেগম তার বিরুদ্ধে যে দাবি করেছেন তা সঠিক নয়।
পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন জানান, স্কুলছাত্রীর মায়ের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এএসআই ফেরদৌস হোসেনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
-এএ