আওয়ার ইসলাম:যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের উত্তেজনাকর সম্পর্কের পরের ধাপে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন নিষেধাজ্ঞায় সাক্ষর করেছেন। যার আওতায় থাকছে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কার্যালয়ও।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি’র বাংলা সংস্করণের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।
মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করা ও আরও কিছু কারণে অতিরিক্ত এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন ট্রাম্প।
এই পদক্ষেপকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ ‘আমেরিকানদের ঘৃণ্য কূটনীতি’ হিসেবে বর্ণনা করেন। এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প প্রশাসনকে যুদ্ধে আগ্রহী বলেও মন্তব্য করেন।
ওমান উপসাগরে তেল ট্যাংকারে হামলা, যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন ধ্বংস ও অন্য কিছু বিষয় নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে দেশ দুটির মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে তেল ট্যাংকারে হামলার কথা অস্বীকার করেছে ইরান।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বলেছে ইরানের আমলাতন্ত্র ও ইসলামিক রেভুলেশনারি গার্ড বাহিনীকে দেখভাল করেন আটজনকে নতুন নিষেধাজ্ঞায় লক্ষ্য করা হয়েছে। সে হিসেবে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে খামেনির অফিস।
যুক্তরাষ্ট্র মনে করে খামেনির অনেক সম্পদ আছে যা রেভুলেশনারি গার্ডকে সহায়তা করে। যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলার।
এ ছাড়া ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপরও নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে এ সপ্তাহের শেষ নাগাদ।
২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর পর ২০১৮ সালের মে মাসে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে শুরু করে ট্রাম্প প্রশাসন।
পরে ইরানর ওপর আরও চাপ বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি ইরানের কাছ থেকে যারা তেল ক্রয় করে তাদেরও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার পদক্ষেপ নেয়।
আরএম/