আওয়ার ইসলাম: সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রীসহ পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছ দুনীর্তি দমন কমিশন, দুদক। দুদকের নিজস্ব কার্যালয়ে এটিই প্রথম মামলা।
একই সঙ্গে আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশের সব সীমান্ত ইমিগ্রেশনে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। এদিকে, ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে আগামী পহেলা জুলাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিআইজি মিজান ও দুদক কর্মকর্তা এনামুল বাসিরকে তলব করেছে দুদক।
নারী নির্যাতনের অভিযোগে গত বছর দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার হওয়া পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মিজানুর রহমানের অবৈধ সম্পদের খোঁজে তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন। তবে দুদকের জাল থেকে নিজেকে বাঁচাতে চেষ্টার কোনো কমতি ছিলো না তার।
এমনকি তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করতে ঘুষ লেনদেনেরও অভিযোগ ওঠে। যার তথ্যপ্রমাণ পরবর্তীতে নিজেই ফাঁস করেন ডিআইজি মিজান। সেই সূত্র ধরে এক পর্যায়ে বদল করা হয় তদন্ত কর্মকর্তাও।
অবশেষে সব জল্পনা শেষে সোমবার কমিশন সভায় অনুমোদনের পর সোমবার( ২৪ জুন) ডিআইজি মিজান ও তার স্ত্রীসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা করেন সংস্থাটির পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মঞ্জুর মোর্শেদ। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
ডিআইজি মিজানকে গ্রেপ্তার করা হবে কিনা, সে বিষয়টি মামলার তদন্ত কর্মকর্তার ওপর নির্ভর করছে বলে জানান দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে আগামী পহেলা জুলাই ডিআইজি মিজান ও দুদক কর্মকর্তা এনামুল বাছিরকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুদক।