আবদুল্লাহ তামিম: ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপরে আক্রমণ ঘটেই চলেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি রিপোর্টে মন্তব্য করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ মন্ত্রকের বার্ষিক আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ২০১৮ সালেও ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষত মুসলমানদের ওপরে হিন্দুত্ববাদী চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলির হিংসাত্মক আক্রমণ ঘটেছে।
আক্রান্তরা কেউ গোমাংস বিক্রি করেছেন, কেউ বা মাংসের জন্য গোহত্যা করেছেন, এ গুজবের শিকার হন মুসলিমরা। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের এ রিপোর্ট বেরোয় বলে জানা যায়। এ রিপোের্টে পরই তার তীব্র প্রতিবাদ করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এবং শাসকদল বিজেপি।
জানা যায়, গতকাল রোববার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এবং শাসকদল ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে তার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। বলা হয়, ভারতের সংবিধানে দেশের সব ধর্মের মানুষকে সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিদেশি একটি রাষ্ট্রের এই ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
উল্লেখজনকভাবে ভারত যুক্তরাষ্ট্র থেকেই একজন গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক পেয়ে গিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম-এর প্রধান তেনজিন দোরজি রোববারই একটি প্রতিবাদ পত্রে লেখেন, ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা যে বিপন্ন নয় তার প্রমাণ, সেখানে তিব্বতী সংস্কৃতি ও ভাষা বিকশিত হয়ে উঠেছে। এভাবে মুসলিমদের উপরও নির্যাতন চলছে।
গতকালও জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করার পরও এক মুসলিম যুবককে বেদম পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের ঝাড়খণ্ডে। এর আগে আসামেও একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, চোর আখ্যা দিয়ে ওই মুসলিম যুবককে পিটিয়ে খুন করে উন্মত্ত জনতা। গত ২২ জুন পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার আগে ১৮ ঘণ্টা ধরে ২৪ বছর বয়সী তবরেজ আনসারি নামক ওই যুবককে বেধড়ক পেটানো হয়। তার আগে জোর করে 'জয় শ্রীরাম' বলতে বাধ্য করা হয় তাকে।
খবরে বলা হয়েছে, গণপিটুনির ঘটনায় বেশ কয়েকটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি তবরেজকে একটি কাঠের লাঠি দিয়ে নৃশংসভাবে পেটাচ্ছে। আক্রান্ত যুবক ছেড়ে দেওয়ার আকুতি নিয়ে হাত জোড় করলেও তাতে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই ওই ব্যক্তির।
-এটি