আওয়ার ইসলাম: ভারতের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে বিরাট জয় পেয়ে ক্ষমতায় ফিরেন নরেন্দ্র মোদি। এরপরই তার কয়েকজন অনুরাগী টুইটারে দাবি করেন, জয় উপলক্ষে মোদির নামে বেঙ্গালুরুতে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
তাদের এই দাবির পরই মসজিদটিকে ঘিরে একের পর এক প্রকৃত তথ্য সামনে নিয়ে আসে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। মসজিদটি যেখানে প্রায় ১৭০ বছরের পুরনো,সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদির বয়স ৬৯ বছর-এমন কিছু বিতর্কিত তথ্য উঠে এসেছে সম্প্রতি।
দুই দশক ধরে গ্র্যান্ড মোদি মসজিদের ইমাম গোলাম রাব্বানি জানান, এ মসজিদটি ১৭০ বছর পুরনো। আর প্রধানমন্ত্রীর বয়স ৬৯ বছর। তার সঙ্গে এই মসজিদের কোনো সংযোগ নেই।
তাস্কের টাউনের ওই মসজিদটি ছাড়াও পূর্ব বেঙ্গালুরুর আরও দু’টি মসজিদ ‘মোদি মসজিদ’ নামে পরিচিত বলেও জানান তিনি।
[caption id="" align="aligncenter" width="728"] মোদি মসজিদ। ছবি: সংগৃহীত[/caption]
জানা যায়, ১৮৪৯ সালে তাসকের শহরের মোদি আবদুল গফুর নামে এক ব্যবসায়ী নিজের উদ্যোগে সেখানে ওই মসজিদটি তৈরি করেছেন বলে জানান মোদি মসজিদ কমিটির অন্যতম সদস্য আসিফ ম্যাকেরি।
পরবর্তীতে, মোদি আবদুল গফুরের পরিবারই বেঙ্গালুরুতে মোদি মসজিদ নামেই আরও দুটি মসজিদ নির্মাণ করেন। এমনকি বেঙ্গালুরুর ট্যানেরি এলাকার একটি রাস্তাও মোদি রোড বলে প্রচলিত হয়ে যায়।
২০১৫ সালে ওই মোদি মসজিদটি ভেঙে ফেলে নতুন করে কিছু পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করে তৈরি করা হয়। নতুন রূপে তৈরি হওয়া সেই মসজিদটিই গত মাসে সাধারণের প্রবেশের জন্যে খুলে দেওয়া হয়েছে।
আর ঠিক ওই সময়েই দ্বিতীয়বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন নরেন্দ্র মোদি। এর ফলেই স্যোশাল সাইটে ওই মসজিদের কথা তুলে ধরে কিছু অনুরাগী দাবি করেন, নরেন্দ্র মোদির নামে মসজিদটি তৈরি হয়েছে।
আরএম/