আওয়ার ইসলাম: পটুয়াখালীর বাউফলে জমির বিরোধ নিয়ে সৃষ্ট সংঘর্ষ থামাতে গিয়েছিল পুলিশ। এ সময় চোখে মরিচের গুড়া মেরে ১০ রাউন্ড গুলিসহ পুলিশের পিস্তল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের ১৯ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে চারজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুন) সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউপির বড় ডালিমা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাজিরপুর ইউপির বড় ডালিমা গ্রামের হাকিম হাওলাদার এবং একই বাড়ির কামাল হোসেন গংদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সোমবার সকালে জমিতে কামাল হোসেন গংরা ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করতে যায়। এ সময় হাকিম হাওলাদার গংরা জমি চাষে বাধা দেয়।
পরে হাকিম হাওলাদার এ ঘটনা বাউফল থানাকে জানালে ঘটনাস্থলে তিনজন পুলিশ আসে। এ সময় কামাল হোসেনের পক্ষের ফারুক হাওলাদারের স্ত্রী খাদিজা বেগম পুলিশের চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয়। তার সঙ্গে থাকা ফিরোজ হাওলাদার মাঈনুদ্দিন নামের এক এএসআইয়ের কোমর থেকে ১০ রাউন্ড গুলিসহ পিস্তল ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনা বাউফল থানার পুলিশ জানতে পেরে অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান চালায়। ঘটনার ছয় ঘণ্টা পর আলম হাওলাদার নামের একজনকে আটক করে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গুলিসহ পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দোকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনায় আট জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মুহা. মঈনুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
-এএ