আওয়ার ইসলাম: টাঙ্গাইলে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরী দেয়ার কথা বলে ঘুষ লেনদেনের সময় হাতে নাতে পুলিশের এসআইসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শুক্রবার (২১ জুন) রাত ৮টার দিকে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাকৃতরা হলেন, জামালপুর সদর কোর্টের এসআই মুহাম্মদ আলী ও জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার খায়রুল বাশারের স্ত্রী শাহানাতুল আরেফিন সুমি (৩৫)।
শনিবার তাদের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় শনিবার দুপুরে তার সম্মেলন কক্ষে প্রেসব্রিফিংকালে জানান, শেরপুর সদর থানার তারাগড় নামাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল বারিকের ছেলে ও ওয়াজেদ আলীর ভাতিজা কবির হোসেনকে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরী দিতে চেয়ে চুক্তি করেন গ্রেফতারকৃতরা।
গ্রেফতারকৃত সুমীর স্বামী খায়রুল বাশার তাদের সহযোগিতা করেন। চুক্তিকৃত ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে চাকুরীপ্রার্থী কবির হোসেনের চাচা ওয়াজেদ আলী গ্রেফতারকৃতদের সাথে মাইক্রোবাসযোগে শুক্রবার জামালপুর থেকে টাঙ্গাইলে আসেন। গাড়িতে বসেই তারা টাকা লেনদেন করেন।
পরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে গাড়িতে ওয়াজেদ আলীকে রেখে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে সুমি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যান। কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে সুমি নিচে গিয়ে উক্ত টাকা তার স্বামী ‘কথিত সাংবাদিক’ খায়রুল বাশারের কাছে দেন। টাকা নিয়ে খায়রুল বাশার চলে যান।
বিষয়টি ওয়াজেদ আলী দেখে ফেলায় তার মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তিনি (ওয়াজেদ আলী) পুলিশ সুপারের নিকট সাক্ষাত করতে চাইলে সুমি তাকে জানান এসপি’র গেস্ট এসেছে তিনি এখন দেখা করতে পারবেন না। এরপর সুমির সাথে ওয়াজেদ আলী বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। ঘটনাস্থলের পাশ দিয়ে ডিবি পুলিশের এসআই ফরিদ উদ্দিনসহ কয়েকজন যাওয়ার সময় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে ওয়াজেদ আলী তাদের কাছে ঘটনা খুলে বলেন।
তখন ডিবি পুলিশ তাদের আটক করে এবং সুমির ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে এক লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা, সুমির স্বামীর নামের সাংবাদিক আইডি কার্ড ও তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি জব্দ করেন। সুমিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বাকি আট লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা তার স্বামী খায়রুল বাশারের নিকট আছে বলে জানান।
টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর শ্যামল কুমার দত্ত জানান, এস আই মুহাম্মদ আলীকে আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সুমি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তাকে শনিবার আদালতে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
-এএ