আওয়ার ইসলাম: বিশ্বের ১৫ কোটি ২০ লাখ শিশু এখনো শিশুশ্রমের শিকার বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা 'আইএলও'র বার্ষিক সম্মেলনে এ কথা জানান সংস্থাটির প্রধান গাই রাইডার।
১৫ কোটির মধ্যে সাত কোটি ৩০ লাখ শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সঙ্গে জড়িত বলেও জানায় সংস্থাটি। শিশুশ্রম বন্ধে বৈশ্বিক নীতিতে পরিবর্তন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
জানা যায়, মাটি কাটা, কৃষিকাজ ছাড়াও গাড়ির গ্যারেজে কাজের মতো ঝুঁকিপূর্ণ এ ধরনের শ্রমের সঙ্গে জড়িত অসংখ্য শিশু। বিশ্বব্যাপী শিশুশ্রম বন্ধে জাতিসংঘের নানামুখী পদক্ষেপের পরও এখনো অসংখ্য শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমের শিকার। ২০০০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সারাবিশ্বে শিশুশ্রমের হার ৩৮ শতাংশ কমলেও এখনো অনেক দেশে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে শিশুশ্রম।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শিশু শ্রম সংস্থা 'আইএলও'র বার্ষিক সম্মেলনে সংস্থার প্রধান জানান, ১৫ কোটি বিশ লাখ শিশুর মধ্যে সাত কোটি ৩০ লাখের বেশি শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সঙ্গে জড়িত।
আইএলওর প্রধান গাই রাইডার বলেন, ভাল তথ্য হলো আগের চেয়ে শিশুশ্রম অনেক কমেছে। ২ হাজার সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত শিশু শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৯ কোটি কমেছে। তবে অর্জনের কারণে বসে থাকলে হবে না। ১৫ কোটি ২০ লাখ শিশুর মধ্যে এখনো ৭ কোটি শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের শিকার।
শিশু শ্রমিকদের অধিকাংশই বর্তমানে কৃষি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলেও জানায় জাতিসংঘ। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব কুমি নাইদু জানান, কঙ্গোয় খনিতে ইলেকট্রিক ব্যাটারি উৎপাদনের মতো ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় শিশুদের ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী শিশুশ্রম বন্ধে এ বিষয়ে বৈশ্বিক নীতির পরিবর্তন জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব কুমি নাইদু বলেন, ইলেক্ট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক গাড়িতে ব্যবহৃত ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বের নামি দামি অনেক প্রতিষ্ঠান শিশুদের ব্যবহার করছে। ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার মানুষ ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যবহার করে ভাবছেন পরিবেশ রক্ষায় তারা অনেক ভূমিকা রাখছেন। অথচ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ভূমিকা রাখলেও এর সঙ্গে শিশুশ্রম জড়িত যা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
প্রযুক্তির উন্নয়নে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি শিশুশ্রমের বিষয়টিও সবাইকে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান কুমি নাইদু। ১০ জুন থেকে শুরু হওয়া আইএলও'র এই সম্মেলন চলবে আগামী ২১ জুন পর্যন্ত।
-এটি