রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


সোনাগাজীর সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম সাময়িক বরখাস্ত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার দায়িত্বে অবহেলার কারণে ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার মোয়াজ্জেমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বলে আজ শুক্রবার পুলিশ সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বরখাস্ত করা হয় ওসি মোয়াজ্জেমকে।

নুসরাত হত্যার ঘটনায় এর আগে পুলিশের গাফিলতির ব্যাপারে খতিয়ে দেখতে গত ১৩ এপ্রিল ডিআইজি রুহুল আমিনের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে গত ২ মে পুলিশ সদর দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি। ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন, পুলিশ সুপার (এসপি) জাহাঙ্গীর আলম সরকার, উপপরিদর্শক (এসআই) ইকবাল ও এসআই ইউসুফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।

গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসার এক ছাত্রী (নুসরাতের সহপাঠী উম্মে সুলতানা পপি ওরফে শম্পা) তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে—এমন সংবাদ দিলে ওই ভবনের ছাদে যান নুসরাত। সেখানে বোরকা ও নেকাব পরা চার-পাঁচজন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। নুসরাত অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।

গত ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া নুসরাত।

এদিকে নুসরাতের মৃত্যুর পরদিন ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, থানায় ওসির সামনে অধ্যক্ষ সিরাজের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলে ধরতে গিয়ে অঝোরে কাঁদছেন ওই তরুণী। নিজের মুখ তিনি দুই হাতে ঢেকে রেখেছিলেন।

সে সময় ওসি মোয়াজ্জেম ‘মুখ থেকে হাত সরাও, কান্না থামাও’ বলার পাশাপাশি এও বলেন, ‘এমন কিছু হয়নি যে এখনও তোমাকে কাঁদতে হবে’।

ওই ভিডিও ধারণ এবং তা ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ায় মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন সৈয়দ সায়েদুল হক নামের এক আইনজীবী।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ