আওয়ার ইসলাম: যশোর সদর উপজেলার বিরামপুরে মন্দিরের ভেতর পুরোহিতের শিশু ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটে।
সে মন্দিরের পুরোহিত প্রকাশ ব্যানার্জি কর্তৃক প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী নিগৃহীত হওয়ায় তা মেনে নিতে পারছেন না এলাকাবাসী। হিন্দু ধর্মীয় নেতার এমন আচরণে হতবাক সবাই। পুরোহিতের প্রতি মানুষের দীর্ঘদিনের আস্থা ও বিশ্বাস ধূলিসাৎ হয়েছে এ ঘটনায়। তারা ঘটনার ন্যায় বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) দুপুর ১২টার দিকে পুরোহিত প্রকাশ ব্যানার্জি মন্দিরে পূজা অর্চনা করছিলেন। এ সময় শিশুরাও সেখানে উপস্থিত ছিল। একপর্যায়ে সাড়ে ছয় বছর বসয়ী ওই শিশুকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ভেতরের একটি কক্ষে ডেকে নেন তিনি।
সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। শিশুটি চিৎকার করলে ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে প্রকাশ ব্যানার্জিকে মন্দির থেকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় বুধবার শিশুটির মা থানায় মামলা করেন।
বিরামপুর গ্রামের বাসিন্দা অনুপ রায় চৌধুরী বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মান-সম্মান ডুবিয়েছেন পুরোহিত। তার কর্মকাণ্ডে আমরা বিব্রত। তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হলেও তাকে আর হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ধর্মীয় কাজে ডাকবে না। আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস নষ্ট করেছেন তিনি। তার কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বিরামপুর-নওয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাপসী রায় বলেন, মেয়েটি আমাদের স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। দুদিন সে স্কুলে আসছে না। শুনেছি পুরোহিত তার সঙ্গে জঘন্য আচরণ করেছে। যা মুখে আনাও পাপ। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক।
শীলা রায় চৌধুরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম দাস বলেন, মঙ্গলবার সকালে স্কুলে এসে শুনলাম পুরোহিত শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন। পুরোহিতের এমন কাণ্ডে পুরো সমাজ বিব্রত। সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক তিনি দোষী হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক।
কোতয়ালি থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) সমীর কুমার সরকার বলেন, শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন পুরোহিত। শিশুটি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। আসামিকে আটক করা হয়েছে। বতর্মানে তিনি কারাগারে আছেন। বৃহস্পতিবার সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে শিশুটির মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
আরএইচ/