জুনায়েদ হাবীব: চট্টগ্রামের বায়েজীদ বোস্তামী থানার ওয়াজেদিয়া এলাকার জামেয়া ওমর ফারুক আল ইসলামিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান নিহতের মামলায় সেই মাদরাসার পাঁচ শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সেই মাদরাসার পাঁচ শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি আবু দারদা, মুহাম্মদ তারেক, মুহাম্মদ জোবায়ের, মুহাম্মদ আনাস। বাকি একজনের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, শিশুটিকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে তার বাবা আনিসুর রহমান শুক্রবার দুপুরে হত্যা মামলা করেছেন। তাই এ ঘটনা সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। তারা সবাই মাদরাসার শিক্ষক ও মামলার আসামি।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে তারা অভিযোগ এড়িয়ে যাচ্ছে। তবে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫-৭ দিন রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানান ওসি। শুনানি শেষে আদালত ৩ দিন মঞ্জুর করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (১০ এপ্রিল) হাবিবুর রহমান নামের (১১) এক মাদরাসা শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত হাবিবুর বায়েজীদ বোস্তামী থানার ওয়াজেদিয়া এলাকার জামেয়া ওমর ফারুক আল ইসলামিয়া মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।
নিহতের বাবা আনিসুর রহমান গনমাধ্যমকে জানান, চার দিন আগে হাবিবুরকে মাদরাসার শিক্ষক তারেক আহমেদ মারধর করেন। এ কারণে হাবিবুর মাদরাসা থেকে বাসায় চলে আসে। পরদিন বুঝিয়ে-শুনিয়ে ফের তাকে মাদরাসায় পাঠানো হয়।
বুধবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর হাফেজ তারেক ফোন করে জানায়, হাবিবুরকে পাওয়া যাচ্ছে না ।আত্মীয়স্বজন মিলে বিভিন্ন জায়গায় হাবিবুরের খোঁজ করা হয়। কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি।
রাত ১০টার দিকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি আবু দারদা ফোন করে জানান, হাবিবুর মাদরাসার একটি কক্ষের জানালার গ্রিলের সঙ্গে গামছা লাগিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই মাদরাসায় তালা লাগিয়ে দেয়। তারা মাদরাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে নানান অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলেন।
-এএ