রোকন হারুন: নামাজের গুরুত্ব ও তার ফাজায়েল আমাদের কারো অজানা নয়। যার নামাজ সঠিক হবে তার বাকি আমলও ঠিক হবে। অতএব নামাজ আদায়ের সময় ফরজ বিধানের প্রতি গুরুত্বারোপ করেত হবে। সেই সঙ্গে থাকতে হবে সচেষ্ট, যেকোন ভুল হলে যেন তা শুধরে নিতে পারি।
নামাজ আদায়ের সময় ফরজ বিধানগুলো যদি ছুটে যায় তাহলে সে নামাজ গ্রহণীয় হবে না। চাই ইচ্ছে করে ছুটুক কিংবা অনিচ্ছায়। অত্যাবশ্যকীয় নামজের বিধান সম্পর্কে দলিলভিত্তিক আলোচনা করেছেন জামিয়া রাহমানিয়া মুহাম্মদপুর, (আলী এন্ড নূর) ঢাকার শাইখুল হাদিস ও প্রধান মুফতি, মুফতি মনসূরুল হক তার ‘কিতাবুস সুন্নাহ’ বইয়ে। আসুন জেনে নিই সেখান থেকে।
নামাজে মোট ১৩ ফরজ (বাইরে ৭ ফরজ এবং ভেতরে ৬ ফরজ)
নামাজের বাইরের ৭ ফরজ -
১. শরীর পাক হওয়া। সূত্র: সূরা মায়িদা, আয়াত- ৬।
২. কাপড় পাক হওয়া। সূত্র: সূরা মুদ্দাছছির, আয়াত- ৪।
৩. নামাজের জায়গা পাক হওয়া। সূত্র: সূরা বাকারা, আয়াত - ১২৫।
৪. ছতর ঢাকা (অর্থাৎ পুরুষগণের নাভি হতে হাঁটুর নীচ পর্যন্ত এবং মহিলাদের চেহারা, কব্জি পর্যন্ত দুই হাত এবং পায়ের পাতা ব্যতিরেকে সমস্ত শরীর ঢেকে রাখা)। সূত্র” সূরা আরাফ, আয়াত-৩১।
৫. কিবলামুখী হওয়া। সূত্র: সূরা বাকারা, আয়াত -১৪৪।
৬. ওয়াক্তমত নামায পড়া। সূত্র: সূরা নিসা, আয়াত- ১০৩।
৭. অন্তরে নির্দিষ্ট নামাযের নিয়ত করা। সূত্র: বুখারী শরীফ,
হাদীস নং-১।
নামাযজের ভেতরে ৬ ফরজ-
১. তাকবীরে তাহরীমা অর্থাৎ শুরুতে আল্লাহু আকবার বলা। সূত্র: সূরা মুদ্দাছছির, আয়াত -৩
২. ফরজ ও ওয়াজিব নামাজ দাঁড়িয়ে পড়া। সূত্র: সূরা বাকারা, আয়াত -২৩৮।
৩. কিরআত পড়া (অর্থাৎ কুরআন শরীফ হতে ছােট এক আয়াত পরিমাণ পড়া)। সূত্র: সূরা মুয্যাম্মিল ,আয়াত : ২০।
৪. রুকু করা। সূত্র: সূরা হজ্জ, আয়াত : ৭৭।
৫. দুই সিজদা করা। সূত্র: সূরা হজ্জ, আয়াত -৭৭।
৬. শেষ বৈঠক (নামাযের শেষে তাশাহহুদ পরিমাণ বসা)। সূত্র: আবু দাউদ, হাদীস নং-৯৭০।
বি.দ্র. নামাজী ব্যক্তির নিজস্ব কোন কাজের মাধ্যমে (যেমন- সালাম ফিরানাে) নামায থেকে বের হওয়াও একটা ফরজ। সূত্র: আল বাহরুর রায়িক, ১:৫১৩।
নামাজের মধ্যে কোন ফরজ বাদ পড়লে নামাজ বাতিল হয়ে যায়। সাহু সিজদা করলেও নামায সহীহ হয় না। প্রমাণসূত্র: আল বাহরুর রায়িক-১: ৫০৫, শামী, ১:৪৪৭/ হিদায়া, ১: ৯৮।
আরএম/