ইসমাঈল আযহার: পবিত্র কাবা শরিফের তালা-চাবি এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রায় ৬৪ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর পবিত্র কাবা শরিফের তালা-চাবি সৌদি আরবের বাদশাহ খালেদ আল ফয়সাল পরিবর্তন করেছন।
মুসলমানদের কেবলা হচ্ছে পবিত্র কাবা শরিফ। পবিত্র এই ঘরের দিকে মুখ করে বিশ্বের সমস্ত মুসলমান নামাজ আদায় করেন। প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানেরা পবিত্র কাবা ঘরে হজ করতে।
খুব কমসংখ্যক লোকই এই পবিত্র ঘরের তালা-চাবির ইতিহাস সম্পর্কে অবগত রয়েছেন।
সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে পবিত্র কাবা ঘরের তালা-চাবিতেও কখনও জং ধরেছে কখনও হযেছে নষ্ট।
৬৪ বছর পুরোন তালা-চাবি পর ২০১২ সালে পরিবর্তন করেন সৌদি আরবরে তৎকালীন বাদশাহ খালেদ আল ফয়সাল।
'বনি শায়বাহ' নামক এক আরবি গোত্রের হাতে পবিত্র কাবা ঘরের তালা-চাবি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আরোপ করা হয়েছে। প্রায় ১৪০০ বছর পূর্ব থেকে এই গোত্রের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ পবিত্র কাবা ঘরের চাবি সংরক্ষণ করে আসছেন। রাসুল স. এই পরিবারের হাতেই তুলে দিয়েছিলেন কাবা ঘরের চাবি।
সৌদি সরকার তালা চাবি পুরিবর্তনের পর চাবি রক্ষানাবেক্ষন করা এই পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, কাবা ঘরের চাবি একটি বিশেষ ব্যাগে রাখা হয়। এই ব্যাগটি পবিত্র কাবা ঘরের পর্দা নির্মাণ কারখানায় নির্মিত হয়েছে।
এই পবিত্র ঘরের চাবি কখনোই হারায়নি। তবে বহু বছর পূর্বে এক ব্যক্তি এই চাবি চুরি করার চেষ্টা করে এবং সফল হয়। কিন্তু চুরি করার পরর তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার নিকট হতে চাবি ফেরত নেওয়া হয়।
ইতিহাসে পরিলক্ষতি হয়, খলিফা এবং আব্বাসী মামলুক ও উসমানি খেলাফতের সুলাইমানের( যে অটোমান হিসেবে খ্যাত) যুগে কাবা ঘর মেরামত অথবা বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য এই তালা-চাবি পাঠানো হত।
কাবা ঘরের সর্বশেষ তালা-চাবিটি অটোমানের যুগে উসমানি খেলাফতের সবচে’ মাজলুম বাদশা আব্দুল হামিদের নির্দেশে ১৩০৯ হিজরিতে তৈরি করা হয়।
এই তালা-চাবিটি আলে সৌদির যুগ পর্যন্ত ছিল। তবে সৌদির তৎকালীন বাদশাহ খালেদ ইবনে আব্দুল আজিজ আলে সৌদির নির্দেশে পরিবর্তন করা হয়।
কাবা শরিফে এপর্যন্ত ৫৮টি চাবি নিবন্ধন করা হয়েছে। এসকল তালা ও চাবি বর্তমানে যাদুঘরে রক্ষণাবেক্ষণ রয়েছে। ৫৪টি চাবি ইস্তাম্বুলের তোপকাপে-এর যাদুঘরে এবং প্যারিসের ল্যুভরের একটি যাদুঘরে ২টি চাবি সংরক্ষণে রয়েছে। অপর ১টি চাবি কায়রোর ইসলামী আর্ট যাদুঘর রয়েছে।
আইএ