মুহাম্মদ ফয়জুল্লাহ
লেখক ও আলেম
যে কোনো কিছু খাওয়ার আগে, আল কুরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী, খাবারের দুটি বৈশিষ্ট্য দেখে নেয়া উচিত।
১। খাবারটি হালাল কিনা?
২। খাবারটি বিশুদ্ধ কিনা?
আল্লাহ তায়ালা বলছেন – يَا أَيُّهَا النَّاسُ كُلُوا مِمَّا فِي الْأَرْضِ حَلَالًا طَيِّبًا وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ
“হে মানবজাতি, তোমরা যমিন থেকে আহার করো, যা হালাল ও বিশুদ্ধ। আর তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।” [সূরা ২/বাকারা – ১৬৮]
১। কোনো খাদ্য বিশুদ্ধ, কিন্তু তা হালাল নাও হতে পারে। যেমন, অন্যের মালিকানাধীন এক গ্লাস বিশুদ্ধ পানি, বিনা অনুমতিতে খাওয়া আমাদের জন্যে হালাল নয়। অথবা, আল্লাহর নাম ছাড়া অন্যের নাম নিয়ে জবাই করা প্রাণীর মাংস বিশুদ্ধ হলেও তা হালাল নয়। কিংবা, হারাম উপার্জনের টাকায় কেনা বিশুদ্ধ মধুও হালাল নয়।
২। একইভাবে, কোনো খাদ্য হালাল, কিন্তু বিশুদ্ধ নাও হতে পারে। যেমন, রাস্তার পাশে বিক্রি করা চটপটি, ফুচকা, ফাস্টফুড জাতীয় খাবারগুলো হালাল হলেও সাধারণত তা বিশুদ্ধ হয় না। অথবা, ফরমালিন যুক্ত কোনো ফল হালাল হলেও তা বিশুদ্ধ না। কিংবা, অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার হালাল হলেও তা অনেক সময় শরীরের জন্যে খারাপ হয়ে থাকে।
সুতরাং, কুরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী কেউ যদি খাবার খেতে চায়, তাহলে তাঁকে দুটি জিনিস লক্ষ রাখতে হবে।
১। খাবারটি হালাল কিনা? ২। খাবারটি বিশুদ্ধ কিনা? কিংবা খাবারটি স্বাস্থ্যের জন্যে উপকারী কিনা?
রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে হারাম ও অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করে সবসময় হালাল, বিশুদ্ধ ও উপকারী খাদ্য গ্রহণের তাওফিক দান করুন। আমীন।
লেখক- সহ-সম্পাদক, পরিবর্তন ডটকম।
আরএম/